নারায়ণগঞ্জে বেতন-ভাতা বৃদ্ধি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাসহ মোট ছয় দফা দাবিতে তৃতীয় দফায় নগরভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন সিটি করপোরেশনের (নাসিক) পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সংগঠন ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা।
এ সময় সকালে নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী নগর ভবনে প্রবেশকালে তার ব্যবহৃত গাড়িটি ঘেরাও করেন তারা। পরে নগর প্রশাসন ও পুলিশের সহায়তায় মেয়র নগর ভবনে প্রবেশ করেন।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সকাল থেকে নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে দিনব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি করেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। পরে সন্ধ্যায় নাসিক প্রশাসন আলোচনার আশ্বাস দিলে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে বাড়ি ফিরে যান তারা।
ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি শিমুল গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা আমাদের দাবি আদায় করবই। আমাদের দাবি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও যৌক্তিক। এই জায়গায় আমার ঐক্যবদ্ধ ও অনড়। সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ আমাদের আলোচনার আশ্বাস দিয়েছে। আগামীকাল আমরা মেয়রের সঙ্গে আলোচনায় বসব। আমাদের ছয় দফা দাবিতে আমরা অটুট আছি। আর নগর প্রশাসন আমাদের দাবিগুলো না মানে, তবে কঠোরতর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।
এর আগে নগর প্রশাসনের কাছে বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ ছয় দফা দাবি পেশ করে ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন।
দাবিগুলো হলো— বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ মোতাবেক শ্রমিকদের নিয়োগপত্র প্রদান করতে হবে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে কর্মরত সব পরিচ্ছন্নতাকর্মীর চাকরি স্থায়ী করতে হবে। সব পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ন্যূনতম দৈনিক হাজিরা ৬৫০ টাকা ও ট্রাক শ্রমিকদের ৭৫০ টাকা করতে হবে এবং প্রত্যেক শ্রমিকের বেতনের সমপরিমাণ ঈদ বা পূজার বোনাস দিতে হবে। প্রতি ওয়ার্ডে দুজন করে ডোম নিয়োগ দিতে হবে।
এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের সময় যদি কোনো শ্রমিক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন, তাহলে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এ ছাড়া যদি স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করেন, তবে তার দাফনের জন্য আগের বরাদ্দ পাঁচ হাজার টাকার পরিবর্তে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। সিদ্ধিরগঞ্জ ও বন্দর অঞ্চলে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের স্থায়ী বসবাসের জন্য বহুতল ভবন তৈরি করতে হবে।
-বাবু/ফাতেমা