পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় দিনে-দুপুরে জয়নাল আবেদীন (৬৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এসময় তার কাছে থাকা ১১ লাখ টাকা লুটে নিয়ে মহাসড়কে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা। শুক্রবার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ অবরিন্দ সরকার।
জানা যায়, বুধবার রাতে ওই ব্যবসায়ীকে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে চোখ মুখ বেঁধে ঈশ্বরদী-ঢাকা মহাসড়কের টাঙ্গাইলের করোটিয়া বাইপাস এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়। পরে লোকালয়ে এসে খবর দিলে তাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই ব্যাবসায়ী ঈশ্বরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ভূক্তভোগী জয়নাল উপজেলার মুলাডুলি এলাকার বাসিন্দা ও সেখানের একটি অটোরাইস মিলের ধান-চালের ব্যবসায়ী।
ঈশ্বরদী থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ব্যাবসার প্রয়োজনে বুধবার ঈশ্বরদী দাশুড়িয়া ইউনিয়নের অগ্রণী ব্যাংক শাখা থেকে ১০ লাখ টাকা তোলেন ব্যবসায়ী জয়নাল। সেই টাকা উত্তরা ব্যাংকের ঈশ্বরদী শাখায় জমা দিতে মোটরসাইকেলে করে দাশুড়িয়া থেকে ঈশ্বরদী আসছিলেন। পথে পাবনা-ঈশ্বরদী মহাসড়কের ঢুলটি বহরপুর এলাকায় পৌঁছালে তার গতিরোধ করে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে কয়েকজন মিলে তাকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়।
জয়নাল আবেদীন জানান, তাকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে চোখ মুখ বেঁধে মাইক্রোবাসে শুইয়ে রাখা হয়েছিল। পরে টাঙ্গাইলের করোটিয়া বাইপাস এলাকায় একটি নির্জন স্থানে তাকে ফেলে পালিয়ে যায় অপহরণকারীরা। সেখান থেকে কোনোমতে লোকালয়ে এসে খবর দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
ভুক্তভোগীর ছেলে জুয়েল আহমেদ বলেন, ব্যাংক থেকে তোলা ১০ লাখ টাকা ছাড়াও বাবার কাছে আরও ৭০ হাজার টাকা ছিল যা তিনি উত্তরা ব্যাংকে জমা দিতে যাচ্ছিলেন। ব্যাংক থেকে বের হয়ে দুপুরে বাড়ি ফিরে না এলে খোঁজ-খবর নেওয়া হয়। পরে বুধবার রাতে বাড়িতে পুলিশ আসলে পরিবারের লোকজন ঘটনাটি বুঝতে পারে।
ঈশ্বরদী থানা-পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) হাদিউল ইসলাম বলেন, বুধবার রাতে ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
-বাবু/এ.এস