সোমবার ৭ জুলাই ২০২৫ ২৩ আষাঢ় ১৪৩২
সোমবার ৭ জুলাই ২০২৫
বর্তমান প্রেক্ষাপট বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন
সোহেল খান দূর্জয়
প্রকাশ: রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ২:৩৫ PM
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৩-এর ডিসেম্বর অথবা ২৪-সালের জানুয়ারি নাগাদ বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সংবিধান অনুযায়ী গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতায় সংসদ নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। গণতান্ত্রিক দেশে জনগণের সমর্থনের ওপরই একটি রাজনৈতিক দল সরকার গঠন করে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে থাকে। জনগণের ভোটে যারা অধিক সংখ্যক আসনে জয় লাভ করে, তারাই সরকার গঠন করবে-এটাই রীতি। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় এর বিকল্প নেই। রাষ্ট্র একটি সংগঠন, এ সংগঠনের সদস্যরা হলেন সাধারণ জনগণ।

সংগঠনকে পরিচালনা করার জন্য জনগণই নির্বাহী ক্ষমতা প্রদান করে কোনো রাজনৈতিক দল বা জোটকে। সেই হিসেবে জনগণই ক্ষমতার উৎস। জনগণের ভোটের মাধ্যমে যারা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পান তারা ক্ষমতাসীন হন। তাদের সেই ক্ষমতা অনুশীলন হবে রাষ্ট্র ও জনগণের কল্যাণে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ক্ষমতা যদি অপব্যবহার করা হয়, তবে সে ক্ষমতা জনতা কেড়ে নেবে সময়মতো। তাই ক্ষমতা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা অপরিহার্য।

তবে দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বিশ্বের বহু গণতান্ত্রিক দেশেই ক্ষমতার অপব্যবহারের দৃষ্টান্ত রয়েছে। বাংলাদেশও এতে কম যায়নি। রক্তক্ষয়ী দীর্ঘসংগ্রামের মধ্য দিয়ে যে দেশটি স্বাধীনতা অর্জন করেছে, সেই দেশের জন্মদাতাকে নির্মমভাবে সপরিবারকে হত্যা করে এক কলঙ্কময় ইতিহাসের জন্ম হলেও এ থেকে তেমন কোনো শিক্ষা অর্জিত হয়েছে বলে মনে হয় না। যেসব দুর্বলতা গোটা দেশবাসীকে গ্রাস করছে, যে সমস্যায় রাষ্ট্র-দেহ বিপর্যস্ত, সে সবের উৎস কিন্তু একটাই-তা হলো বাংলাদেশের মানুষ নিজেরাই নিজেদের অপদস্ত ও অপমান করছে। মানুষ হিসেবে নিজেদের মর্যাদা ও মূল্যকেও তারা কোনো স্বীকৃতি দেয়নি। এ জন্যই বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনার জায়গা বিস্তৃত হচ্ছে। তদুপরি বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রভাবও বিস্তার লাভ করছে, আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের উর্বর মস্তিষ্কে। প্রতিনিয়তই তারা বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখে রাজনীতির সমীকরণ মেলাবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ বলছেন, বাংলাদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হবে-আবার কেউ বলছেন, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মতো হবে না। অনেকে পাকিস্তানের উদাহরণ টানছে। কখনও কখনও হিংস্র মৌলবাদ ফুঁসে উঠছে। ঠুনকো ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজপথ রক্তাক্ত হচ্ছে। এদিকে প্রায় ২ মাসেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে-এ যুদ্ধ কোথায় গিয়ে শেষ হবে, তা সঠিক করে কেউ বলতে না পারলেও যুদ্ধ একদিন থেমে যাবেই। কিন্তু এ যুদ্ধের প্রভাবে সারাবিশ্বেই অর্থনৈতিক মন্দাবস্থা বিরাজ করছে। এমনিতেই করোনাভাইরাসের সঙ্গে গোটা বিশ্বের মানবজাতি যুদ্ধে জড়িত রয়েছে। করোনাঘাতের তীব্রতায় বিশ্ব মানব সভ্যতা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। বিপন্ন সে অবস্থা থেকে অনেকটা উত্তরণ ঘটলেও এখনও থামেনি সে যুদ্ধ। এখন করোনার সঙ্গেই বসবাস করতে হবে, এমন পণ করেই মানুষ তার স্বাভাবিক জীবন ধারায় নিজেদের সমর্পণ করেছে। এদিকে বিশ্বের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী হবে তা কোনো রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে স্পষ্টতা মিলছে না।

সভ্যতাকে বাঁচাতে হলে-

আমরা যাঁরা ধূর্ত গণপতি কি দাম্ভিক নন, যাঁরা মানুষের মধ্যে শ্রেষ্ঠ, যাঁরা জীবন সাধনায় অগ্রণী-তাঁরা কবি,তাঁরা শিল্পী,তাঁরা প্রেমিক। নতুন জগৎ রচনার ভার আসলে তাঁদেরই হাতে। সংস্কৃতির মূল আবেদন ছিল মিলন। মানুষের সঙ্গে মানুষের মিলনের আবেদনটাই হারিয়ে ফেলেছে আজকের সংস্কৃতি। যা মানুষের সাথে আর মানুষের মৈত্রি ঘটায় না। একটা সময় যখন আমাার কোন কিছুই ভালো লাগতো না, তখন আমি একা একাই সীমান্তে চলে যেতাম বাই সাইকেল চালিয়ে। সীমান্তের সবুজ জাজিমে মোড়ানো তরুলতার ভীরে হারিয়ে যেতাম, ঘন্টার পর ঘন্টা সেখানে বসে কবিতা লিখতাম, আমার কবিতায় কল্পনাতে একটা প্রেমিক পুরুষ টেনে নিয়ে আসতাম,, লেখাটা যখন প্রকাশ হতো, আমার যত দেশ বিদেশের কবি সাহিত্যিক বন্ধুরা তারা ভাবতো আমি কারো সাথে গভীর প্রেমে মজে থাকি, তাদের কথা শুনে আমি মনে মনে হাসতাম, এখনো বলে এখনো আমি হাসি,, কিন্তু  সেই রহস্যের কারণ আজও কারো কাছে প্রকাশ করিনা।

তবে অনেকেই আমার লেখার মধ্য দিয়ে প্রকাশ হয়েছে। এই ধরো- অনিন্দ্য, অবিকল, নীলদা, গুনদা, কাব্য, অসীম, জিমি, কলকাতার শিবদস চক্রবর্তী, অরুন কুমার, সত্যজিত, অনিল৷ অনেকেই। আমি ছদ্ম নামে থাকতাম, কখনো পড়শি, কখনো পার্বতী, কখনো নীলিমা, কখনো মানবী, কখনো মানসী, কখনো উর্বশী, কখনো পঞ্চভূত নামে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটানা প্রায় ১৪ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রয়েছে। এ সময় দেশের অর্থনৈতিক সাফল্যের কথা একপাক্ষিক প্রচারণায় সুস্থ রাজনীতির যবণিকাপাত হচ্ছে, তা কেউ খেয়াল করছে না। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে দুঃখ করে বলতে হচ্ছে, ‘একটি গ্রহণযোগ্য শক্তিশালী বিরোধীদল পেলাম না।’ সংসদে বিরোধীদল হিসেবে যারা আছেন এবং রাজনীতির মাঠে যারা বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করছে এ দুটোরই জন্ম ইতিহাস প্রশ্নবিদ্ধ। রাজনৈতিক দল হিসেবে যোগ্যতার দিক থেকে দুর্বল। তারপরও এরা বাংলাদেশ শাসন করেছে শোষণ করে টিকে আছে। এ দুটো দল নিয়ে সম্ভার সৃষ্টি হয়েছে অনেক গবেষণাও হয়েছে যথেষ্ট। তাদের সময় যে রাজনীতি হয়েছে, তা শুধু ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর লালসা তৃপ্তির জন্য। দীর্ঘদিনের অশুভ দৃষ্টিভঙ্গির কারণে বাংলাদেশের রাজনীতি অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছিল। এ থেকে মুক্তির প্রত্যাশায় গণতন্ত্র বিকাশের আন্দোলনে যে সফলতা এসেছিল, সে সফলতা ধরে রাখা যায়নি। রাজনীতির ওপর যে কালো ছায়া পড়েছিল, সে কালোছায়ার কবল থেকে আমরা এখনও মুক্ত হতে পারিনি বলেই রাজনীতিতে তিক্ততা দিনে দিনে বেড়েই চলছে। সাধারণ মানুষের এখন আর রাজনীতিকদের প্রতি কোনো আগ্রহ নেই। সে জন্য নির্বাচনগুলোতে জনগণ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বিরত থাকছে। জনগণ যখন ভোটদানে উৎসাহ হারিয়ে ফেলে, তখন বুঝতে হবে রাষ্ট্র দেহে ঘুণ ধরেছে। ঘুণধরা রাষ্ট্র কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে না। যে রাষ্ট্রের সংবিধানে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম ও ধর্মনিরপেক্ষতা থাকে-সেটা সুস্থতার লক্ষণ নয়। পারস্পরিক-সাংঘর্ষিক কোনো বিষয় থাকাটা যৌক্তিক নয়। সুতরাং ধর্মনিরপেক্ষতার কোনো প্রয়োজন নেই। যেহেতু-‘গণতন্ত্র শব্দটি সংবিধানে রয়েছে, সেহেতু ধর্মনিরপেক্ষতার কোনো দরকার পড়ে না। কেননা, গণতন্ত্রের মধ্যেই ধর্মনিরপেক্ষতার বীজমন্ত্র রয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষতাকে ধর্মান্ধরা ধর্মহীনতা হিসেবে প্রচার করে থাকে।

যা হোক, বিশ্ব রাজনীতির গতি প্রকৃতি বদলে গেছে অনেকটা। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিশ্ব নেতাদের দৃষ্টিভঙ্গিও পাল্টে গেছে। ধর্ম, বর্ণ ও জাতিগোষ্ঠীর বিচারে রাশিয়ান ও ইউক্রেনীয়দের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। এক সময় পার্শ্ববর্তী দুটি রাষ্ট্র একই মানচিত্রের ভূখ- ছিল। যে ঠুনকো ইস্যুতে রাশিয়া-ইউক্রেন হামলা করেছে তা কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেত। কিন্তু রাশিয়া সেটা করেনি, পুতিন তার ব্যক্তিগত দক্ষতার প্রমাণের জন্য। এমন একটি যুদ্ধ তার খুবই প্রয়োজন ছিল। রাশিয়ার এ রকম আগ্রাসী মনোভাবের প্রতি অনেকের সমর্থন রয়েছে। সমর্থন দাতাদের সাহসেই পুতিন বেটাগিরি দেখাচ্ছেন। কিন্তু অতি দানবীয়তাকে পরম সৃষ্টিকর্তাও পছন্দ করে না। রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতির বাতাস আচরে পড়ছে সারা বিশ্বে। এমনি অবস্থায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনেকটাই শঙ্কাগ্রস্ত। কেননা, দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক কুপ্রভাব অনিবার্য। অর্থনীতির কুপ্রভাবে রাজনীতি গতিপথ হারিয়ে ফেলবে। অনেকটা হারিয়ে ফেলেছেও। এখন চলছে আত্ম প্রতিষ্ঠার রাজনীতি। বর্তমান সরকারের মেয়াদ যত শেষের দিকে যাবে, অস্থিরতা তত বাড়বে। তার আলামত এরই মধ্যে স্পষ্ট হচ্ছে। গত দুটো নির্বাচনের মতো আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে, এমন প্রত্যাশা করাও ঠিক হবে না। আবার বিরোধী পক্ষ বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিবে না বলে হুংকার দিচ্ছে। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে অনঢ়। কে দেবে তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটিয়ে ফেলবে, এমন সক্ষমতাও তাদের নেই। অন্যদিকে সরকারও শংঙ্কাগ্রস্ত। মুখে যাই বলুক, বিরোধীপক্ষকে নির্বাচনে না আনতে পারলে-নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না, পাশাপাশি জনগণও ভোটকেন্দ্রে যাবে না। এমনিতেই ভোটের প্রতি জনগণের আগ্রহ নেই। সদ্য গঠিত নির্বাচন কমিশনও বেকায়দায় রয়েছে। সব দল নিয়ে নির্বাচন করতে না পারলে, তাদের ব্যর্থতা প্রমাণিত হবে। তা হলে কী হতে যাচ্ছে, দেশে এ নিয়ে নানা প্রশ্ন! আমরা আরাম চাই, সুখ চাই; কিন্তু কীভাবে আরামণ্ডসুখ হবে-তা নিয়ে ভাবি না। দিনে দিনে সামাজিক নৈরাজ্য বাড়ছে। মনুষত্ব বিকাশের পথরুদ্ধ হচ্ছে। এ অধোগতি যখন সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশের লোকদের আক্রমণ করে, তখন গোটা কাঠামোটাই ভেঙে পড়ে। সবারই মনে থাকার কথা, একটি মাত্র বৈদেশিক আক্রমণে গোটা রোমান সমাজ টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে পড়েছিল। সেই সমাজ আর উঠতে পারেনি। ইজিপ্ট (মিশর) ব্যাবিলিয়ন, আসিরিয়া প্রভৃতি অন্য অনেক সাম্রাজ্যও একই রকম পতন পর্বের মধ্য দিয়ে গেছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে ইউরোপের অনেক চিন্তাবিদ সবিস্ময়ে ভাবছেন, ইউরোপও এমনি একটি পর্বের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে কি-না। ইউরোপীয় সভ্যতা নিয়ে ইউরোপে বিংশ শতকে প্রথম যে বইটি প্রকাশিত হয়, তার নাম-The Decline of the West (পাশ্চাত্যের পতন) লেখক জার্মান দার্শনিক প-িত অসওয়াল স্পেংলার (১৮৮০-১৯৩৬) গ্রন্থটিতে খুব জোড়ালো ভাষায় লেখক বলেছিলেন, ‘পাশ্চাত্য সমাজ তার দায়িত্ব পালন করে ফেলেছে, এখন সে পতনের পথে।’ কিন্তু The Defence of the West (পাশ্চাত্যের সমর্থনে) গ্রন্থের লেখক ফ্রান্সের হ্যানরি ম্যাশোর এর মতো কিছু রক্ষণশীল ব্যক্তি সে কথা মানেনি, তাদের মনে হয়েছিল যে, তারা তখনও যথেষ্ট শক্তিশালী, কারণ তাদের অধীনে ছিল অনেকগুলো উপনিবেশ। এরপর এলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-যা ছিল খুবই ভয়ংকর, সবারই তা জানা। পাশ্চাত্যে এখন চিন্তা হচ্ছে, সংস্কৃতির সম্ভাব্য ঘাটতি নিয়ে। অত্যাধিক সংস্কারহীন বস্তুতান্ত্রিকতা এবং ক্রমবর্ধমান চাহিদা এক উৎকৃষ্ট সমাজ সমস্যার ইঙ্গিত। এ সব কারণে আধুনিক সভ্যতার পতন নিয়ে চিন্তিত। এমন পরিস্থিতি বাংলাদেশেও বিরাজমান। রাজনৈতিক দুদুল্যমান অবস্থাকেন্দ্রিক সমাজ ব্যবস্থা আমাদের স্বপ্নকে ভেঙে চুরমার করে দিবে, তাতে আর সন্দেহ কী? অতএব, সাবধান। উন্নয়নের ভ্রান্তি বিলাসে গা ভাসালে চলবে না। চোখ কান খোলা রাখতে হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গোটা জাতি তথা, সব রাজনৈতিক দলকে সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গিতে এগিয়ে যেতে হবে। নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়, সে বিষয়ে সব দলকেই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হয়, জনগণ যদি ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়, তবে দেশ ও জাতির ধ্বংস অনিবার্য।


-বাবু/এ.এস

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত