কক্সবাজারের টেকনাফে গৃহবধূ শাহীনা আক্তার মুন্নির স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে মিডিয়া অফিসে তার আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।ঘটনাটি ঘটেছে চলতি মাসের ১২ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫ টায় বান্দরবান জেলা আলিকদম থানার তারাবনিয়া এলাকার নুর জাহানের বাড়িতে।
মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযুক্ত আসামিরা এ পাশবিক নির্যাতনের মাধ্যমে এ হত্যাকাণ্ড ঘটনাটি ঘটেছে। সংবাদ সম্মেলনে এর প্রতিকার চেয়ে নিহত আবু বকরের স্ত্রী শাহীনা আখতার মুন্নি নিজে বাদী হয়ে মোঃ হারুনের পুত্র মোঃ শরীফকে প্রধান অভিযুক্ত করে ৪ জনের বিরুদ্ধে আলিকদম থানায় হত্যার অভিযোগ দায়ের করার জন্য। উক্ত থানায় গেলে কর্তৃপক্ষ অভিযোগটি গ্রহণ না করে তাড়িয়ে দেয়। বিষয়টি আলিকদম প্রেস ক্লাবে গিয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের অবগত করলেও কোন সুরাহা মিলেনি।
জানা যায়, ২০২১ সালে ২১ ডিসেম্বর ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক আলিকদম উপজেলার তারাবনিয়া এলাকার মৃত এহসান খলিফার পুত্র আবু বকরের সাথে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কেরুনতলীর নুর মোহাম্মদ এর মেয়ে শাহীনা আক্তার মুন্নীর সাথে বিয়ে হয়। এক বছর সুখে শান্তিতে বসবাস করলে ও অভিযুক্তরা মাদক ব্যবসায়ী হয়। ওরা টেকনাফ থেকে মাদক সংগ্রহ করে আলীকদম এলাকায় মওজুদ করে এবং বিভিন্ন স্থানে পাচার করে থাকে। মাদক ব্যবসা ও পাচার কাজে গৃহকর্তা আবুবকরকে ওরা চাপ ও বল প্রয়োগ করে থাকে। অন্যথায় প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
এ নিয়ে অভিযুক্তদের সাথে ঝগড়াঝাঁটি ও মারামারি করে এক পর্যায়ে ২০২২ সালে ১২ সেপ্টেম্বর বিকালে আবুবকর এর বোন নুর জাহানের বাড়িতে মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে উদ্ধত্যপূর্ণ পরিস্থিতি স্ত্রী শাহীনা আক্তার নিরাপত্তাজনিত কারণে পাশের বাড়িতে অবস্থান নেয় এবং এ সুযোগে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে এবং মৃত দেহটি আলিকদম উপজেলা কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। আলিকদম থানার পুলিশ লাশটি মর্গে পাঠিয়েছে। এনিয়ে স্ত্রী শাহীন আক্তার তার স্বামী আবুবকর হত্যার বিচার চেয়ে অবশেষে সাংবাদিকদের কাছে দ্বারস্থ হচ্ছে।
এ বিষয়ে আলিকদম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন সরকার এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।আমি ছুটিতে থাকার কারণে বিষয়টি অবগত ছিলামনা। ঘটনাটি তদন্তপুর্বক খতিয়ে দেখা হবে।
বাবু/জাহিদ