মিরাজ নামের এক তরুণের সাথে শনিবার ১৭ সেপ্টেম্বর, মুন্নী (১৮ ছদ্মনাম) তরুণীর পরিচয় হয়। রোববার ১৮ সেপ্টেম্বর তাঁরা দু'জনে ঘুরতে বের হন। এবং ১৯ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে মুন্নী (ছদ্মনাম) পালাক্রমে ধর্ষনের শিকার হন। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায়।
ধর্ষণের ঘটনায় মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দাউদকান্দি মডেল থানায় প্রেস ব্রিফিং করে পুলিশ। প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্যে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দাউদকান্দি-চান্দিনা) সার্কেল মো. ফয়েজ ইকবাল বলেন, মুন্নী (ছদ্মনাম)'র সাথে মিরাজের পরিচয় হয় চলতি মাসের ১৭ সেপ্টেম্বর। মোবাইল ফোনে তাদের দীর্ঘ আলাপ হয়। পরিচয়ের পরদিন ১৮ সেপ্টেম্বর দু'জনে ঘুরতে বের হন। ঘুরাঘুরির সময় মুন্নী চাকুরীর বিষয়ে কথা বলে মিরাজের সাথে। মিরাজ স্থানীয় একটি মেইলে চাকরী দিবে বলে আস্বস্ত করেন এবং প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র তৈরী করে দেয়ার কথাও বলে।
এই দু'দিনের পরিচয়ে মুন্নী মিরাজের উপর ভরসা করেন। মিরাজের কথা মতো মুন্নী ১৯ সেপ্টেম্বর সোমবার দাউদকান্দি উপজেলার শহীদনগরে আসেন। সেখান থেকে দুপুরে মিরাজ মুন্নীকে সাথে নিয়ে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের পশ্চিম হুগলিয়া মারকাজ মসজিদ সড়কের পাশে একটি জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে মিরাজসহ তার ৫ বন্ধু মিলে ওই তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
একপর্যায়ে তরুণী অচেতন হয়ে পরলে তাকে জঙ্গলে রেখে চলে যায় ধর্ষণকারীরা। বিকেল ৪.৪০ মিনিটে এক পথচারী একটি মেয়েকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে দাউদকান্দি মডেল থানায় ফোন দেয়। ফোন পেয়ে মডেল থানার ওসি মো. আলমগীর ভূঞা ঘটনাস্থলে এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গৌরীপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে একটু সুস্থ হলে ওই তরুণী ধর্ষণ হওয়ার ঘটনা বর্ণনা দেয়।
পুলিশ ঘটনার বর্ণনা অনুযায়ী তাৎক্ষণিক অভিযানে বের হয় এবং রাতের মধ্যেই মিরাজসহ ৩ জনকে ধরতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্ববর) সকালে 'ধর্ষিতা' তরুণীর বাবা দাউদকান্দি মডেল থানায় ৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মো. আলমগীর ভূঞা, ওসি তদন্ত মো. মো. মাকসুদ আলম উপস্থিত ছিলো।
আটককৃত প্রধান আসামি মিরাজ দাউদকান্দি উপজেলার পশ্চিম হুগলিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। মিরাজুল ইসলাম অরুপে শরীফ (১৯), একই গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে অপু (২৬), ও বারেক মিয়ার ছেলে মোখলেছন (২৫)।
ওসি মো. আলমগীর ভূঞা বলেন, রাতে মেয়েটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এবং বাকী আসামিদেরকে আটক করার প্রক্রিয়া চলমান।
বাবু/জাহিদ