রবিবার ১৩ জুলাই ২০২৫ ২৯ আষাঢ় ১৪৩২
রবিবার ১৩ জুলাই ২০২৫
আখাউড়া থেকে ট্রেনে করে নিরাপদ গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছে মাদক
আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর, ২০২২, ৪:৫১ PM আপডেট: ০৪.১০.২০২২ ৪:৫২ PM
পূর্বাঞ্চল রেলপথের ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট এবং ময়মনসিংহ অভিমুখী ট্রেনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ও আজমপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি'র) সহযোগিতায় ওঠে ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিলসহ নানা ধরনের মাদক। আর এসব মাদক যায় ঢাকা, নরসিংদী, ভৈরব, কুমিল্লা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। মাঝে-মধ্যে মাদকসহ কেউ কেউ ধরা পড়লেও অধিকাংশরাই নিরাপদে গন্তব্যে নিয়ে যাচ্ছে মাদক।

আখাউড়া-ঢাকা পথে চলাচলকারী তিতাস কমিউটার ট্রেন, ঢাকা-সিলেট পথের কালনী এক্সপ্রেস,পারাবত এক্সপ্রেস, জয়ন্তীকা এক্সপ্রেস ঢাকা-চট্টগ্রাম পথের মহানগর এক্সপ্রেস ও মহানগর গোধূলি, চট্রলা এক্সপ্রেস ও তূর্ণা-নিশিতা, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ পথের বিজয় এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-সিলেট অভিমুখী পাহাড়িকা ও উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন যেন চোরাচালানী এবং মাদক ব্যবসায়ীদের নিরাপদ বাহনে পরিনত হয়েছে। এই ট্রেন গুলি এখন মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে। আখাউড়া রেলওয়ে পুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কতিপয় কর্মকর্তা ও সদস্য এবং ট্রেনের কর্মচারীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় মাদকদ্রব্য পাচার হচ্ছে ট্রেনে করে।সড়ক পথে একাধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেকপোস্টসহ নানা কড়াকড়ির কারণে মাদক ব্যবসায়ীরা ট্রেনকে নিরাপদ বাহন হিসেবে বেছে নিয়ে অবাধে তারা তাদের কারবার চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আখাউড়া ও আজমপুর স্টেশন দিয়ে ট্রেনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক পাঠায় এমন ৪-৫ জন ব্যবসায়ী বলেন, 'ম্যানেজ মানি দিয়ে সমঝোতা না করলে স্টেশন এলাকায় কোনো মালামাল প্রবেশ করতে পারবে না। কাজেই সীমান্ত থেকে গন্তব্য পর্যন্ত সবাইকে ম্যানেজ করেই আমরা ব্যবসা করছি। এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আখাউড়া রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি'র) ইনচার্জ আবু সুফিয়ান ভুঁইয়া মুঠোফোনে বাংলাদেশ বুলেটিনকে বলেন, আমাদের কারো সহযোগিতায় এই ধরনের কোন মাদক পাচার হচ্ছে না, আর যদি কেউ এই ধরনের কাজের সাথে জড়িত থাকে, আমি প্রমান পাই তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও তিনি জানান।

ট্রেনে করে মাদক পাচারের বিষয়ে জানতে চাইলে আখাউড়া রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলিম হোসেন শিকদার জানান আমাদের কোন সদস্য এসব কাজে জরিত থাকার প্রশ্নই আসে না। আমি এই থানায় যোগদানের পর গত ১ মাসে মাদক মামলা দিয়েছি ১৯টি। মাদকের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছি। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বাবু/জাহিদ

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত