ঢাকার আশুলিয়ায় জিফোরএস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও নিরাপত্তাকর্মীর বিরুদ্ধে নারী সহকর্মীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জরিত দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৮ অক্টোবর) সকালে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাশিদ। এর আগে শুক্রবার রাতে আশুলিয়ার বুড়ির বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, গাইবান্ধার মো. ফেরদৌস খন্দকার (৩৮) গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার মধ্যপাড়া এলাকার আনছার আলীর ছেলে। অপরজন মাসুদ আবেদীন (৩০) দিনাজপুর জেলার পারর্বতীপুর থানার খোপতল এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে। তাদের একজন ওই প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মী ও অপরজন কর্মকর্তা বলে জানা গেছে। ঘটনার পর ভুক্তভোগী ওই নারী নিজে বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারী ডিইপিজেড এলাকার একটি জিফোরএস নামে প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কর্মরত। তিনি বুড়িরবাজার এলাকায় কোম্পানির মেসে অন্যান্য নারী সহকর্মীদের সঙ্গে থাকতেন। তার পাশেই দারা মিয়ার বাসার নিচতলা ভাড়া নিয়ে থাকতেন একই প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মী ও কর্মকর্তারা। গত ৬ অক্টোবর ঝগড়া করে ভুক্তভোগীর মোবাইল ভেঙে ফেলেন তার সঙ্গে মেসে থাকা অপর এক নারী নিরাপত্তাকর্মী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কোম্পানির কর্মকর্তার কাছে বিচার দেন। এসময় তার অন্যান্য সহকর্মীকে নিয়ে দারা মিয়ার বাসার নিচতলার ওই ভাড়া বাড়িতে যেতে বলেন। পরে ভুক্তভোগী গেলে মোবাইল ভাঙার বিষয়টি কর্মকর্তা মীমাংসা করে দেন। একই সঙ্গে ভুক্তভোগী ওই নারীকে বাদে বাকিদের চলে যেতে বলেন। পরে কৌশলে দরজা আটকে তাকে ধর্ষণ করেন অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী অসুস্থ অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। পরে ৭ অক্টোবর তিনি থানায় মামলা করেন।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুর রাশিদ বলেন, ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে। আমরা অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করেছি। আজ তাদের আদালতে পাঠানো হবে।
বাবু/জাহিদ