বগুড়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ডা.মকবুল হোসেন বিজয়ী হয়েছেন। তিনি আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৮৭৪ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল মান্নান আকন্দের মোটর সাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৭২১ ভোট। রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বপালনকারী বগুড়া জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন।
১২টি কেন্দ্রে মোট ১৬২৩ ভোটারের মধ্যে ১৬০০ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে ৫টি ভোট বাতিল হওয়ায় ১৫৯৫ জনের ভোট বৈধতা পায়।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ডা. মকবুল হোসেন ৭টিতে জয় পেয়েছেন। জেলার শিবগঞ্জে ডা. মকবুল হোসেনের আনারস প্রতীকে পড়েছে ৭৩ ভোট এবং আব্দুল মান্নান আকন্দের মোটর সাইকেলে পড়েছে ৫৮ ভোট। আনারস এবং মোটর সাইকেল প্রতীকে যথাক্রমে বগুড়া সদরে পড়েছে ১০৫ ও ৪৯, কাহালুতে ৪৮ ও ৯৮, দুপচাঁচিয়ায় ৭২ ও ৫৬, আদমদীঘিতে ৯৮ ও ১৮, নন্দীগ্রামে ৭১ ও ৩৬, শাজাহানপুরে ৫৮ ও ৭২, শেরপুরে ৫৫ ও ৬৫, ধুনটে ১০৬ ও ৪০, গাবতলীতে ৭৭ ও ৬৪, সারিয়াকান্দিতে ৬৫ ও ৭৮ এবং সোনাতলা ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ডা. মকবুল হোসেন আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৬ ভোট আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল মান্নান আকন্দের মোটর সাইকেলে পড়েছে ৮৭ ভোট।
এর আগে সোমবার সকাল ৯টা থেকে জেলার ১২টি ওয়ার্ডে একযোগে ভোট গ্রহণ চলে। দুপুর ২টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ চলাকালে প্রতিটি কেন্দ্রের বাইরে চেয়ারম্যান, সাধারণ ওয়ার্ড এবং সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের সদস্যদের সমর্থকদের ভিড় দেখা গেলেও কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
সহকারি রিটার্নিং অফিসার এস এস জাকির হোসেন জানান, প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে ১২টি ওয়ার্ডে মোট ১২জন প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োজিত ছিলেন। এছাড়া আরও ২৪ জন সহকারি প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং অফিসার হিসেবে ছিলেন ৪৮ জন এবং ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছন আরও ৮৪ জন। বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী জানান, নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল।
বাবু/জেএম