চলতি রবি মৌসুমে শিম’র মাচায় দুলছে চাষীর আশার স্বপ্ন। রঙ্গিন ফুল আর সবুজ ফলের সাথে চাষীর মুখের ফুটে উঠেছে মিষ্টি হাসি। বেগুনি রঙ্গের মনোমুগ্ধকর ফুলে প্রকৃতি সেজেছে দারুণ মুগ্ধতায়। মৌসুম শুরুর আগেই এমন মনোরম দৃশ্যে মাচায় ভরে আছে চিলাহাটি এলাকার শিম বাগান।
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নে চৌকিদারের মোড় এলাকায় আগাম শিম চাষ করে ভাল ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন ওই এলাকার কৃষকেরা।
শীতকালীন সবজি’র মধ্যে অন্যতম শিম। কয়েক বছর ধরে এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে আগাম জাতের শিম। অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম খরচে বেশী লাভ হওয়ায় দিনদিন এই আবাদে ঝুঁকছেন চাষিরা। আগাম বাজারে নামাতে পারলে ভালো দাম পাওয়া যাবে এমন প্রত্যাশা কৃষকদের।
ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের চৌকিদারের মোড় এলাকার শিম চাষি আল আশাদ ইসলাম বলেন, ৮ শতক জমিতে শিম চাষ করেছি, এতে খরচ হয়েছে দুই হাজার পাঁচশত টাকা। এখন পর্যন্ত উৎপাদিত শিম বিক্রি হয়েছে পাঁচ হাজার টাকা। আশা করছি এবার শিম বিক্রি করে লাভবান হতে পারবো। আবহাওয়া ও জমি চাষের উপযোগী হওয়ায় শিমের ভাল ফলন হয়েছে। এছাড়া বাজারে দাম ভাল থাকায় এবার আগাম জাতের শিম চাষ করেছি। উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কামরুজ্জামান জানান, লাউ, শাক, শিম জাতিয় সবজি ৩৬ হেক্টর জমিতে চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। গত রবি মৌসুমে উপজেলায় ৮ শত দশ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ অর্জিত হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আনিছুজ্জামান বলেন, ডোমার উপজেলায় মাটি খুবই উর্বর এবং চাষ উপযোগী হওয়ায় এখানকার কৃষকদের সবজি বাগান গড়ে তোলার জন্য কৃষি বিভাগ সার্বিক পরার্মশ দিচ্ছে। রবি’র চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৭ শত ৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাবু/জেএম