ঝিনাইদহের সব রুটে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। স্থানীয় ও দুরপাল্লাসহ সব রুটেই যাত্রীবাহী ও অন্যান্য ছোট-বড় যানবাহন সময় মেনেই ছেড়ে যাচ্ছে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। তবে খুলনা জেলায় পরিবহন ধর্মঘটের কারণে কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা ঝিনাইদহ হয়ে খুলনাগামী বাসগুলো যশোর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পর্যন্ত চলাচল করছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন খুলনাগামী যাত্রীরা।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, আরাপপুর, বাইপাস মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীর চাপ অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম রয়েছে। খুলনাগামী যাত্রীর সংখ্যা একেবারেই কম ছিল। বাসের যাত্রীসংখ্যাও ছিল কম।
তবে খুলনা জেলায় বাস প্রবেশ না করতে পারায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন অনেক যাত্রী। কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ হয়ে যশোরে গিয়ে বাস থেকে নেমে যেতে হচ্ছে তাদের। এরপর মাহিন্দ্রা, মোটরসাইকেল কিংবা অন্যান্য যানে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। এতে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের।
খুলনাগামী যাত্রী ইশিতা বলেন, ‘জরুরি প্রয়োজনে খুলনা যেতে হবে তাই টার্মিনালে এলাম। কিন্তু শুনছি যশোরে গিয়ে নেমে যেতে হবে। বাসের হেলপারের সঙ্গে কথা বললাম, তিনি বললেন, যশোর থেকে খুলনা যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেবেন। হয়তো এজন্য বাড়তি ভাড়া দিতে হবে।’
আরেক যাত্রী বলেন, ‘ধর্মঘট ডাকা মানেই আমাদের দুর্ভোগ। বাস মালিক সমিতি কিংবা রাজনৈতিক দল হোক বা সংগঠনই হোক তারা ধর্মঘট ডেকে বসে থাকে কিন্তু আমাদের কথা ভাবে না। এভাবে তো সব চলতে পারে না।’
খুলনাগামী গড়াই পরিবহনের চালক বলেন, ‘ঝিনাইদহ থেকে যশোর পর্যন্ত যাচ্ছি। খুলনায় বিএনপির সমাবেশের জন্য ধর্মঘটের কারণে যশোর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল হয়েই আবার ফিরে আসতে হবে। তবে খুলনায় ধর্মঘটের কারণে যাত্রীর সংখ্যা অনেক কম।’
যশোরের নওয়াপাড়া থেকে ছেড়ে আসা রূপসা পরিবহনের চালক বলেন, ধর্মঘটের কারণে খুলনার পরিবর্তে যশোরের নওয়াপাড়া থেকে ছেড়ে এসেছি। এখন ঝিনাইদহ হয়ে কুষ্টিয়া যাচ্ছি।
খুলনায় বিএনপির সমাবেশের কারণে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদ।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা যাতে সমাবেশে যেতে না পারেন সেজন্য বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। তবে মোটরসাইকেল, ভ্যান, ট্রেনসহ অন্যান্য বিকল্প যানে করে এরই মধ্যে কয়েক হাজার নেতাকর্মী খুলনায় পৌঁছেছেন। তাদের সুবিধার্থে খুলনার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলসহ অন্যান্য স্থানে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জানতে চাইলে ঝিনাইদহ বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির নেতা রোকনুজ্জামান রানু বলেন, ঝিনাইদহে কোনো পরিবহন ধর্মঘট নেই। তবে খুলনা মালিক সমিতি মহাসড়কের নিষিদ্ধ তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধের যে ঘোষণা দিয়েছে তাতে সমর্থন জানিয়ে যশোর পর্যন্ত বাস চালু রেখেছি।
বাবু/এসআর