ঢাকা সিটিসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের জন্য রয়েছে নামে বেনামে অসংখ্য পাবলিক পরিবহন। অফিস বা ব্যক্তিগত কাজে জনসাধারণ এই সকল পরিবহন ব্যবহার করে থাকে। যদিও পরিবহনের বিভিন্ন স্থানে লেখা আছে সিটিং সার্ভিস কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন! সিটিং সার্ভিসের এই সিট নিয়েই কথা বলছিলেন একজন গর্ভবতী মহিলা। তাঁর মুখ থেকে শোনা যায়- ভাই ভাড়া'তো কম নেননা; তাহলে সিট এতো ছোট ক্যান?
গত ১৬ই অক্টোবর ২০২২ ইং তারিখে 'সাভার পরিবহন' নামক একটি গাড়িতে এমন ঘটনা ঘটে। এব্যাপারে জানতে চাইলে ঐ যাত্রী বলেন, ভাই আমরা গরীব মানুষ, তাই আমাদের একমাত্র ভরসা বাস না হয় ভ্যান-রিক্সা। এখন এগুলোতেও চলাচল করে শান্তি নাই। দেখেন কত কষ্টে বসে আছি, পা রাখার জায়গা কতো ছোট! পা ঠেকে আছে আরেক সিটের সাথে। পরিচয় জানতে চাইলে তিনি অসম্মতি জ্ঞাপন করেন।
এব্যাপারে ঐ গাড়ির কন্ট্রাকটর সুজনের কাছে জানতে চাইলে বলেন, মালিক কি লস দিবে নাকি? লাভের জন্যই গাড়ির সিট বাড়ায়ছে! আমাদের বেতন দেয়, জিপি দেয়, তেল লাগে তারপর মালিক পায়। এই এধরনের গাড়িতে কয়টি সিট থাকার কথা এবং আছে কয়টি? সুজন বলেন, ৩৬ টা থাকার কথা তবে আমাদের গাড়িতে আছে ৪৫ টি। তার কারণে যাত্রীদের একটু অসুবিধা তো হবেই!
গাড়ি নির্মাণের বিষয়ে মামুন অটো মোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপের মালিক বলেন, ভাই গাড়ি মালিকদের চাহিদা অনুযায়ী বডি তৈরি করে দেই। মালিকরা বেশি লাভের আশায় সিট বাড়ায়। তবে চেসিস অনুযায়ী এই ধরনের গাড়ির সিট স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি।
বাবু/জেএম