শরণখোলায় সিডর আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বঙ্গোপসাগরসহ বাগেরহাটের শরণখোলার বলেশ্বর নদী উত্তাল রয়েছে। চলছে প্রবল বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া। এতে সুন্দরবনসহ স্থানীয় নদ-নদীর পানি বেড়েছে প্রায় পাঁচ ফুট। এদিকে টানা বর্ষণে আমন ধান, সবজির ক্ষেতে পানি জমেছে, আতঙ্কে বলেশ্বর পাড়ের মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আবহাওয়া দপ্তর সাত নম্বর সতর্ক সংকেত ঘোষণার পর স্থানীয়রা সাইক্লোন শেল্টারে আসতে শুরু করেছেন। সময় মতো যাতে সব মানুষ সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিতে পারে সেজন্য রেডক্রিসেন্ট ও সিপিপির সদস্যরা মাইকিং করে যাচ্ছেন। সিডর বিধ্বস্ত জনপদ শরণখোলার সাউথখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ সাউথখালী গ্রামের ইউপি সদস্য মো. জাকির হোসেন জানান, ৩৫/১ পোল্ডারের বগী- তাফালবাড়ি সিডর বিধ্বস্ত এলাকা। ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরে এখানে সহস্রাধিক মানুষ মারা যায়। সেই থেকে ঝড় এলেই মানুষ সিডর আতঙ্কে ভোগে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হোসেন জানান, সাউথখালী বেড়িবাঁধের বাইরে প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার রয়েছে। এরা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। এখানে সাইক্লোন শেল্টারের সংখ্যাও কম। তাই দুর্যোগের সময় সবাই আশ্রয় নিতে পারেনা। স্থানীয় রেডক্রিসেন্ট কর্মী মো. নাজমুল শেখ জানান, তারা বৃদ্ধ ও শিশুদের অগ্রাধিকার দিয়ে সাইক্লোন শেল্টারে লোক আনা-নেওয়ার কাজ করছেন। সেই সঙ্গ মানুষের মধ্যে সতর্ক সঙ্কেত দিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে উপজেলার বগী, চারিতাবুনিয়া, গাবতলা, উত্তর সাউথখালী, রায়েন্দা, রাজেশ্বর, লাকুরতলা, কদমতলা, রায়েন্দা এলাকার কয়েকশ’ লোক সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নুর ই আলম সিদ্দিকী জানান, উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অবস্থিত ৯৩টি সাইক্লোন শেল্টারে মানুষ আসতে শুরু করেছে। শেল্টারে এসে যাতে কোনো রকমের সমস্যা দেখা না দেয় সে জন্য উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি কাজ করছে। খাবার পানিসহ শুকনা খাবার মজুদ রয়েছে।
বাবু/জেএম