বরিশালের বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে নেতাকর্মীরা দলে দলে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে (বেলস পার্ক) বৃহস্পতিবার রাত থেকে হাজির হতে শুরু করেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় পর বাঁশের লাঠিতে জাতীয় পতাকা বেঁধে সমাবেশ স্থলে হাজির হয়েছেন অনেকে। বঙ্গবন্ধু উদ্যানে (সমাবেশস্থল) এলাকায় অবস্থান করে এ ধরনের বেশ কয়েকটি মিছিল দেখা গেছে।
মিছিলে থাকা কর্মীদের দাবি, বিএনপির কর্মসূচিকে ঘিরে নিয়ে সরকারি দলের নেতাকর্মীরা উসকানি দিচ্ছে। নিজেদের রক্ষার জন্য লাঠি নিয়ে সমাবেশে এসেছেন তারা।
শনিবার (৫ নভেম্বর) দুপুর ২টায় এই উদ্যানে বিএনপির সমাবেশ শুরুর ঘোষণা রয়েছে। ইতোমধ্যে সমাবেশস্থলে এরই মধ্যে হাজির হয়েছেন কয়েক হাজার নেতাকর্মী। এ সময় নেতাকর্মীদের স্লোগানে সরগরম হয়ে ওঠে এলাকা।
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জ্বালানি তেল, চাল, ডাল, ভোজ্যতেলসহ নিত্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, ভোলায় নুরে আলম, আব্দুর রহিম, নারায়ণগঞ্জে শাওন, মুন্সিগঞ্জে শহিদুল ইসলাম শাওন, যশোরে আব্দুল আলিমকে হত্যার প্রতিবাদ এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে বিভাগীয় সমাবেশ করা হচ্ছে।
বিএনপির স্থানীয় নেতারা বলছেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা ধর্মঘট উপেক্ষা করে একদিন আগে বিভাগের পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি ও ভোলা জেলা ইতোমধ্যে সমাবেশস্থলে জড়ো হয়েছেন। শুক্রবার দুপুর থেকেই শত শত ট্রলারে করে দলটির কর্মী সমর্থকরা বিভিন্ন জায়গা থেকে আসতে শুরু করেছেন। সন্ধ্যার মধ্যে মাঠটি বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে ভরে গেছে।
এদিকে বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দিতে বরিশাল পৌঁছেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিমানে করে শুক্রবার বিকেল ৫টায় ঢাকা থেকে বরিশালে আসেন তিনি। সঙ্গে এসেছেন দলের কেন্দ্রীয় আরও কয়েকজন নেতা।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীদের পরিবহন বন্ধ করে আটকে রাখা যাবে না। সমাবেশস্থলে এখনই এত নেতাকর্মী, তাহলে ভাবুন বরিশাল নগরীতে কত নেতাকর্মী অবস্থান করছে। সমাবেশে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটবে।
-বাবু/এ.এস