কার্ড আছে কিন্তু ডিলারের কাছে টাকা দিয়েও টিসিবি পণ্য কিনতে পারেনি নীলফামারীর ডোমার উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের টিসিবি কার্ডধারীরা। সোমবার (৭ নভেম্বর) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে টিসিবি পণ্য বিক্রয়কালে লাইনে দাড়িয়ে থেকে, পণ্য কিনতে না পেরে অনেকে খালি হাতে বাড়ী ফিরেছে।
একরামুল হক, মোর্শেদা, শুশেন ,লতিফ, রমজান, তরিকুল ইসলাম, আনারুল, নয়ন, বেলাল, সুজন রায়, মনছের আলীসহ কমপক্ষে ২৫ জন কার্ডধারী সাংবাদিকদের কাছে উক্ত অভিযোগ করেন। উক্ত ইউনিয়নে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয়কারী ডিলার সাবেদ আলী জানান, হরিণচড়া ইউনিয়নে এক হাজার ৫৯৭ জন টিসিবি কার্ডধারী আছে। নির্ধারিত কার্ড অনুযায়ী মালামাল বরাদ্দ পেয়েছি। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সেখানে পণ্য বিক্রয় করা হয়েছে। কয়েকজন কার্ডধারীর পণ্য বিক্রয় বাকী ছিলো। সেইসব পণ্য ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে বুঝিয়ে দিয়ে হিসাব খাতায় স্বাক্ষর নিয়ে চলে আসি।
ট্যাগ অফিসার হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা) আব্দুল বারী জানান, নির্ধারিত কার্ড অনুযায়ী পণ্য বিক্রয় করা হয়েছে। কেউ অবশিষ্ঠ ছিলো না। ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল রানা জানান, ডিলার নির্ধারিত কার্ডধারীদের হাতে পণ্য বিক্রয় করে কাগজপত্র সম্পাদন করে চলে যায়। কোন অবশিষ্ঠ মালামাল ছিলো না।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রমিজ আলম বলেন, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নগুলোর কার্ডধারীর সংখ্যা অনুযায়ী পণ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। কোন কার্ডধারী সুবিধা ভোগীরা পণ্য পায়নি তা বিষয়টি ডিলারের কাছে জানতে চাওয়া হবে। এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রসঙ্গত, সয়াবিন তেল ২ লিটার, মসুর ডাল ২ কেজি ও চিনি এক কেজি, মূল্যে ৪০৫ টাকা করে প্রতি কার্ডধারীদের কাছে টিসিবি পণ্য বিক্রয় করা হয়।
বাবু/জেএম