সোমবার ৭ জুলাই ২০২৫ ২৩ আষাঢ় ১৪৩২
সোমবার ৭ জুলাই ২০২৫
হাতিয়ায় জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে পাঙ্গাস
নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২২, ৬:১১ PM আপডেট: ১০.১১.২০২২ ৬:১৫ PM
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদী সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে ইলিশের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে পাঙ্গাস মাছ। বিগত বছরের তুলনায় এই বছর পাঙ্গাসের সংখ্যা অনেক বেশি।

সরেজমিনে হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাট মৎস্য আড়তে গিয়ে দেখা গেছে, সারিবদ্ধভাবে পাঙ্গাস রেখে দিয়েছে জেলেরা। পরে সেই মাছগুলো আড়তের মালিকরা পাইকারদের কাছে বিক্রি করছেন। এছাড়াও দাম তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় দূর দুরান্ত হতে অনেক ক্রেতাও পাঙ্গাস মাছ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। বেশি মাছ ভালো দামে বিক্রি করতে পেরে জেলেরাও দারুন খুশি।

মো. মজনু নামের এক আড়ৎদার বলেন, নিষেধাজ্ঞার পর পাঙ্গাসের আমদানি খুব ভালো। দেশের বিভিন্নস্থানে পাঠালে ভালো দাম পাওয়া যায়। পাঙ্গাসগুলো খেতেও সুস্বাদু তাই ভালো দাম পাওয়া যায়। মো. মিরাজ উদ্দিন নামের এক মৎস্যজীবী বলেন, ইলিশের জালে এখন পাঙ্গাস ধরা পড়ছে। ৫ কেজি থেকে ওপরে এক একটা পাঙ্গাসের ওজন। দাম ও ভালো পাচ্ছে। জেলেরা পাঙ্গাস পেয়ে উৎফুল্ল।

জসিম উদ্দিন নামের এক পাইকারি ব্যবসায়ী বলেন, পাঙ্গাস আগের থেকে এখন ভালো পাওয়া যাচ্ছে। কেজি প্রতি দাম ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা করে। ঢাকা, কাওরান বাজারসহ বিভিন্নস্থানে পাঙ্গাসগুলো চালান করি। মেঘনা ফিশিংয়ের ম্যানেজার মো. হাবিব ভূঁইয়া বলেন, গতবারের চেয়ে এবারে পাঙ্গাস মাছ বেশি পাওয়া যাচ্ছে। যদি আরও বেশি পাঙ্গাস পেত তাহলে ইলিশের মৌসুম থেকেও বেশি আয় করতে পারতো। পাঙ্গাস মাছের ওজন ৭ কেজি থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত। একটা মাছ ১০ হাজার করে বিক্রি হলে ১০টার দাম হয় এক লাখ টাকা।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, পাঙ্গাস সারাবছর ধরা পড়ে তবে হাতিয়ায় উল্লেখযোগ্য আকারে পাঙ্গাস ধরা পড়েছে বলে আমার জানা নাই। তবে চাঁদপুরসহ বিভিন্ন জেলায় উল্লেখযোগ্য ভাবে পাঙ্গাস ধরা পড়ছে। বেশি পাঙ্গাস পাওয়া ইলিশের জন্য উদ্বেগজনক উল্লেখ করে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুস সাকিব খান বলেন, পাঙ্গাস রাক্ষসী মাছ। সে সব কিছু খায়। যদি বেশি পাঙ্গাস পাওয়া যায় তাহলে ইলিশের প্রজনন হুমকির মুখে পড়তে পারে।

কেননা পাঙ্গাস ইলিশের পোনাও খেতে পারে। দাম ও স্বাদে ইলিশ পাঙ্গাসের থেকে এগিয়ে। ইলিশ খুবই অভিজাত মাছ। তাদের বিচরণের নিরাপত্তা না দিতে পারলে তারা স্থান পরিবর্তন করতে পারে।

বাবু/জেএম
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত