বগুড়ার নন্দীগ্রামে সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজির ১৮ বস্তা চাল উদ্ধারের ঘটনায় এক ভ্যানচালকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় প্রভাবশালী কালোবাজারীকে আসামি না করায় সুধিমহলে নানা গুঞ্জণের সৃষ্টি হয়েছে।
খাদ্য অধিদপ্তরের সিল মোহরকৃত বস্তা ভর্তি চাল উদ্ধার ও ব্যাটারিচালিত অটোভ্যান আটক করা হলেও সরকারী চাল পাচারের মূল হোতারা থেকে যাচ্ছে আড়ালে। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) রাতে উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের আইলপুনিয়া মানুষমারী পাকা রাস্তা এলাকার একটি মুদি দোকানের সামনে থেকে চালভর্তি ভ্যানসহ চালক জাহাঙ্গীর আলমকে (২৮) আটকের পর তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। সে আইলপুনিয়া গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে।
এ ঘটনায় রাতেই ভ্যানচালককে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন আইলপুনিয়া গ্রামের নজিবুল্লাহ মজনু মন্ডল নামের স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা। একটি সূত্র জানায়, উদ্ধারকৃত চালগুলো বুড়ইল ইউনিয়নের কহুলী গ্রামের এক প্রভাবশালী কালোবাজারীর। তিনি মামলার বাদীর ঘনিষ্ঠ। যে কারণে তাকে রক্ষা করতে শুধুমাত্র নিরীহ ভ্যানচালককে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ নিয়ে সর্বত্রই আলোচনা চলছে।
মামলার বিবরণে বলা হয়, সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩০ কেজির ১৮ বস্তায় ৫৪০ কেজি চাল অটোভ্যানে করে কুন্দারহাট বাজারে যাচ্ছিলো চালক। পথিমধ্যে আইলপুনিয়া মানুষমারী এলাকায় পাকা রাস্তার ওপর চালভর্তি ভ্যানসহ চালককে আটক করা হয়। প্রতিটি চালের বস্তায় খাদ্য অধিদপ্তরের সিলমোহর রয়েছে। মামলার বাদী আওয়ামী লীগ নেতা নাজিবুল্লাহ মজনু জানিয়েছেন, ভ্যানচালক সরকারি চালগুলো সংগ্রহ করে গুদামজাত এবং বিক্রি করার জন্য গোপনে কুন্দারহাট বাজারে নিয়ে যাচ্ছিলো। এসময় তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৮ বস্তা চালসহ একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। ভ্যানচালকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত করে কোনো কালোবাজারী জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাবু/জেএম