ভোলার লালমোহন উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার আবাসন প্রকল্পের নতুন ঘরের ইট, বালু রড খোয়াসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের মাদ্রাসা বাজার সংলগ্ন প্রধানমন্ত্রীর উপহার আবাসন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।
গত কয়েক দিন আগে নতুন ঘরের কাজের জন্য নির্মাণ সামগ্রী মালামাল রাখা হয়েছে, কিন্তু কাজ না করে সেই মালামাল বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে ওই ঘর তৈরি করার মিস্ত্রী রিপন হোসেন এর বিরুদ্ধে। চুরি হওয়া সব মালামাল স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় লালমোহন প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস নতুন ঘর নির্মাণের পার্শ্ববর্তী বাড়ির আলাউদ্দিন এবং ফয়েজের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়।
তবে উদ্ধারকৃত মালামাল না নিয়ে বা তাদের কোন প্রকার শাস্তি না দিয়ে উপজেলা প্রকল্প অফিসের আজাদ এবং রুবেল ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদেরকে বুঝিয়ে দিয়ে মাল না নিয়ে চলে আসেন। সরকারি মালামাল কেন ক্রয় করল এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আলাউদ্দিন এবং ফায়েজ বলেন, এখানে যে আবাসনের ঘর গুলো তৈরি করেছে, সেই রিপনের কাছ থেকে আমরা এগুলো কিনেছি। কিন্তু এখন সে চলে গেছে মালামাল নেওয়ার জন্য গাড়ি না থাকায় উপজেলা প্রকল্প অফিসের হোসেন আজাদ এবং রুবেল আমাদের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে মালামাল রেখে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লালমোহন উপজেলা প্রকল্প অফিসার সোহাগ ঘোষ বলেন, আমাদের ঘরগুলো রক্ষার জন্যে রাতের বেলায় কোন নাইটগার্ডের ব্যবস্থা করেনি সরকার। যার ফলে বিভিন্ন জায়গা থেকে এই মালামালগুলো চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশেষ করে লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নে বেশি চুরি হচ্ছে। চুরিকৃত মালামাল জব্দ করা হয়েছে। কেয়ারিং খরচের কারণেই মূলত ওই মালামাল দিয়ে, তাদের থেকে টাকা আনা হয়েছে। এ বিষয়ে অফিস থেকে কোনো ধরনের মামলা বা জরিমানা করা হলো না কেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জানান, সরকারি মালামাল এভাবে বিক্রি করে এটা আমি জানতাম না। তবে অফিস থেকে আমাকে বলা হয়েছে। আমার ইউনিয়নের মালামাল চুরি হয়েছে। আমি বলেছি যারা এই মালামালসহ ধরা খেয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
বাবু/জেএম