দুই বাংলার তিন শতাধিক কবি-সাহিত্যিককে নিয়ে বগুড়ায় তিন দিনব্যাপী সম্মেলন শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকালে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী সাহিত্য সংগঠন বগুড়া লেখক চক্রের আয়োজনে এ সম্মেলনে উদ্বোধন করা হয়।
কবি সম্মেলন উপলক্ষে জেলা পরিষদ মিলনায়তন চত্বরে বইমেলা বসেছে। সম্মেলনে দুই দেশের স্ব স্ব ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পাঁচজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে বগুড়া লেখক চক্র পুরস্কার দেওয়া হবে।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব কবি কামাল চৌধুরী।
তিনি বলেন, কবিতা শেখার কোনো বিদ্যালয় নেই। কবিতার বিদ্যালয় তাদের হৃদয়, মস্তিষ্ক, সৃজনশীলতা, মনন ও অভিজ্ঞতা। কবি তার আবেগ দিয়ে যে শব্দ ও বাক্য তৈরি করেন, সেটাই কবিতা। তবে সব কবিতা কিন্তু কবিতা নয়। বিষয়বস্তু ও শব্দশৈলীর মাধ্যমে ১০০ বছর পরও কবিতাকে জীবন্ত রাখতে, নতুন পাঠকের কাছে তরতাজাভাবে উপস্থাপন করতে শব্দ রচনা করতে হবে। কবি সম্মেলন শুধু সৌহার্দ্য ও মহামিলন নয়, নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক ভাবনা-চিন্তার বিনিময়, নিজেদের বোঝা, জানা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ সমুন্নত রাখার প্রয়াসও।
বগুড়া লেখক চক্রের সভাপতি ইসলাম রফিকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত সচিব কবি আমিনুল ইসলাম, বগুড়ার জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক, পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবত্তী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, ভারতীয় কবি পাণজি বসাক, প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান কবি রোকেয়া ইসলাম, স্বাগত বক্তব্য রেখেছেন, বগুড়া লেখক চক্রের উপদেষ্টা প্রাাবন্ধিক, কবি বজলুল করিম বাহার, বিআইআইটির অধ্যক্ষ সাহাবুদ্দিন সৈকত, বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জে এম রউফ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোজের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ সিদ্দিকী, আনন্দকণ্ঠের সভাপতি এবিএম জিয়াউল হক বাবলা, ইয়ুথ কেয়ারের সভাপতি আতিকুর রহমান মিঠু প্রমুখ বক্তব্য দেন ।
বগুড়া লেখক চক্রের সভাপতি ইসলাম রফিক বলেন, শুদ্ধ ও সৃজনশীল সাহিত্যচর্চায় বগুড়া লেখক চক্র ১৯৮৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর যাত্রা করে। ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত কবি সম্মেলনে দুই বাংলার প্রথিতযশা কবি-সাহিত্যিকদের মিলনমেলা জমে উঠেছে।
বাবু/এসআর