ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ভূমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই নারীসহ তিনজনকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলাকারীরা বসত ঘর ভাংচুর এবং নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটে নিয়েছে। মারপিটের শিকার আব্দুল হাসিম মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে একই গ্রামের জারু মিয়াসহ ছয় জনের নাম উল্লেখ করে আখাউড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
আহতদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় বড় কুড়ি পাইকা গ্রামে আব্দুল হাসিমের বাড়িতে এ হামলার ঘটনা। আহতরা হলো উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের বড় কুড়িপাইকা গ্রামের আব্দুল হাসিমের স্ত্রী মোছা. নারগিস বেগম (৫০), মৃত আব্দুল কুদ্দুছের স্ত্রী মোছা. মোমেনা বেগম (৬২) ও আব্দুল হাসিম (৬০)।
লিখিত অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আব্দুল হাসিম দীর্ঘ দিন যাবত তার মালিকানা জায়গায় ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিলেন। তার প্রতিবেশি মো. জারু মিয়া ও তার আত্মীয় স্বজন আব্দুল হাসিমের বসত বাড়ির জায়গা জবর দখল করে তাদেরকে উচ্ছেদ করার পায়তারা করে আসছে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিষয়টি সমাধানের জন্য গ্রামে দুইবার সালিশ সভা হয়েছে। কিন্তু জারু মিয়া সালিশের সিদ্ধান্ত অমান্য করে জোর পূর্বক আব্দুল হাসিমের জায়গায় খুঁটি বসিয়ে দেয়। আব্দুল হাসিম ও তার পরিবার খুঁটি বসানোর কারণ জানতে চাইলে জারু মিয়া ও তার আত্মীয় স্বজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা করে আব্দুল হাসিমের বসত ঘরের দরজা, জানালা ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষতি করে। এসময় আব্দুল হাসিম, তার স্ত্রী ও তার বড় ভাবীকে বেদম মারধর করে। এসময় আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা আব্দুল হাসিমের পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। জারু মিয়ার ভাগ্নি বিলকিছ বেগম আব্দুল হাসিমকে নারী নির্যাতনের মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানোর ভয় দেখায়।
জানতে চাইলে ব্যাপারে ইউপি সদস্য মো. সাজিদুল ইসলাম সুজন বলেন, আমি যতটুকু জানি জায়াটি আব্দুল হাসিমের নামে বিএস আছে এবং দীর্ঘদিন যাবত তাদের দখলে আছে। কিন্তু জারু মিয়া বলতেছে এখানে জায়গা পাবে। এ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ ব্যপারে আখাউড়া থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) মোঃ জাকির হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। জারু মিয়া জোর করে আব্দুল হাসিমের জায়গা দখল করতে চেয়েছিল এবং তাদেরকে মারধর করেছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।
বাবু/জেএম