যমুনা নদীর তীরে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী সিরাজগঞ্জ জেলা ইজতেমা। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে পৌর এলাকার রানীগ্রাম মহল্লায় যমুনা নদীর তীরে এই ইজতেমা শুরু হয়েছে। যা আগামী রোববার (২৫ ডিসেম্বর) আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে।
সিরাজগঞ্জ জেলা তাবলিগ জামায়তের (নিজাম উদ্দিন অনুসারী) আয়োজনে এ ইজতেমায় অর্ধ লাখেরও বেশি মুসল্লি অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইজতেমা আয়োজনের প্রায় ৫০ বিঘা জমির ওপর করা ইজতেমা স্থলের আশপাশে রাখা হয়েছে মুসল্লিদের সকল সুযোগ-সুবিধা। এখানে ছয়টা খিতরা তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি খিতরায় ৪০০ থেকে ৪৫০ লোক থাকতে পারবে। ২৫টি পয়েন্টে এসব খিতরায় মোট ৩৬০টি রুম করা হয়েছে। এখানে মুসল্লিদের জন্য রাখা হয়েছে ১২৫টি বাথরুম।
এছাড়াও স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে দুইটি মেডিকেল টিম রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, সার্বিক নিরাপত্তার জন্য ইজতেমা স্থলে একটি পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়েছে। তাবলিগ জামায়াতের সিরাজগঞ্জ জেলা ফয়সাল সূরা সদস্য ডা. এস এম নাজিম উদ্দীন জানান, ইজতেমায় সিরাজগঞ্জ জেলা ছাড়াও পাবনা, বগুড়া, নাটোর, নওগাঁ ও টাঙ্গাইল জেলার মুসল্লিরা অংশ নিচ্ছেন। এছাড়াও ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া থেকে ওলামায়ে কেরামরা যোগ দিয়েছেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ইজতেমার আয়োজনে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা হয়েছে। নিরাপত্তার দিকে চিন্তা করে ইজতেমায় একটি পুলিশ ক্যাম্প নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়াও ইজতেমা চলাকালীন সময়ে পুলিশ টহল ক্যাম্প অব্যাহত থাকবে।
বাবু/জেএম