ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়ায় আইনজীবীর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ এনেছেন আদালতে কর্মরত এক কর্মকর্তা। সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ আনা হয়। তবে ওই আইনজীবী এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সকালে উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের রুটি-নুরপুর গ্রামের ভুক্তভোগীদের আয়োজনে রুটি চক বাজারে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চট্টগ্রাম দ্রত বিচার ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা শামীম সরকার। এ সময় রুটি গ্রামের আইনজীবি মো. শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে নিরীহ মানুষকে হয়রানির অভিযোগ আনা হয়।
শামীম সরকার বলেন, ‘২০২১ সালের এপ্রিল মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আমিসহ আমার পিতা এবং দুই ভাইয়ের নামে আদালতে মামলা করা হয়। মামলার উল্লেখিত সময়ে চাকরির সুবাদে আমি কর্মস্থল রাজশাহীতে ছিলাম। আমার এক ভাই প্রবাসে ছিল। আইনজীবি শফিকুর রুটি পূর্ব উকিল পাড়া রেজভিয়া সুন্নীয়া জামে মসজিদের সভাপতি দাবি করে ওই মামলা করেন। অথচ ওই নামে রুটি গ্রামে কোন মসজিদ বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নাই। প্রায় এক বছর মামলা চলার পর সঠিক প্রমানাদি দাখিল করতে না পারায় মামলা থেকে আমরা রেহাই পাই। এছাড়াও এই আইনজীবি আইন পেশার অপব্যবহার করে রুটি গ্রামের বাদল মিয়া, গোলাম মোস্তাফা, ওসমান গণিসহ বহু মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন।’ এ সময় তিনি আইনজীবি শফিকুল রহমানের বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগ তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে এলাকার বাদল মিয়া, ওসমান গণি, গোলাম মোস্তাফাসহ অন্যান্য ভুক্তভোগীরা ওই আইনজীবির হয়রানিমূলক বিভিন্ন কর্মকান্ড সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। এ সময় তারা এর প্রতিকার পেতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
তবে অভিযুক্ত ভিযুক্ত আইনজীবি মো. শফিকুর রহমান এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সাংবাদিকদেরকে তিনি বলেন, ‘শামীম সরকার যেসব অভিযোগ করেছেন সেগুলো মিথ্যা ও বানোয়াট। তার বিরুদ্ধে আদালতে আমার দায়ের করা দেওয়ানী ও ফৌজধারী মামলা আছে।
বাবু/এসআর