জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় চলতি মৌসুমে ২ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাতে বোরো আবাদের আগে ব্যাপকহারে সরিষার আবাদ করেছে চাষিরা। গতবছরের তুলনায় এবার প্রায় তিনগুণ চাষ হয়েছে সরিষার, ছাড়িয়েছে লক্ষ্যমাত্রাও। এত বেশি পরিমাণ জমিতে ইতিপূর্বে কখনোই সরিষার চাষ করা হয়নি। ইতিমধ্যে সরিষার গাছে গাছে ফুল এসেছে। হলুদ ফুলে ভরে গেছে মাঠ। রঙের পাশাপাশি সরিষার হলুদ ফুলের গন্ধ মাতিয়ে দিয়েছে পুরো এলাকা। রঙ আর সুবাসে প্রকৃতি সেজেছে অপরূপ সৌন্দর্যের নান্দনিক রূপে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। গত মৌসুমে ৯৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছিল। এবার সরিষার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ হাজার ৭০০ হেক্টর জমি। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর তিনগুণ বেড়েছে সরিষা চাষ।
সরেজমিনে উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের নব্যচর, বাংলা বাজার, কড়ইচড়া ইউনিয়নের জটিয়ার পাড়া, মহিষবাথান, বাগলেরগড় ও পৌরসভার জোনাইলসহ বিভিন্ন এলাকার বিস্তৃত মাঠ সরিষার ফুলে ফুলে ভরে গেছে। যতো দূর চোখ যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। সেই সাথে মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। দৃষ্টিনন্দন হলুদ ফুলের এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করতে দর্শনার্থীদের পদচারণা এখন সরিষাখেতে। খেতের আইলে বসে তুলছেন সেলফি। আবার কোথাও কোথাও সরিষাখেতে মৌ-বক্স বসিয়ে মৌমাছির মাধ্যমে মধু সংগ্রহের কাজ চলছে।
গুনারিতলা ইউনিয়নের উত্তর জোড়খালী গ্রামের চাষি নজরুল ইসলাম, কবির আহমেদ, আমিনুর রহমান জানান, সরিষার তেল ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটায়, রয়েছে পুষ্টিগুণ। এছাড়াও সরিষার খৈল পশুখাদ্য ও গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। সরিষা আবাদে সেচের প্রয়োজন হয় না। এ কারণে কৃষকদের আর্থিক সাশ্রয় হয়। তাছাড়া কম সময়ে সরিষা আবাদ করা যায় বলে কৃষকরা আগ্রহী হচ্ছেন।
সরিষা চাষি সাইদুর রহমান বলেন, এবার কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে ৪ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। আশা করছি, অন্য বছরের তুলনায় এবার সরিষার ফলন ভালো হবে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান মিজান বলেন, আমরা চাষিদের উদ্বুদ্ধ করেছি সরিষা চাষে। গত বছর চাষিরা সরিষার ভালো দাম পেয়েছেন বলে সহজেই উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে ৪ হাজার কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহাদুল ইসলাম জানান , দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাতে এবার সরিষার আবাদ বাড়ানোর নির্দেশনা ছিল। তাই সরিষা চাষ বৃদ্ধিতে একটা পরিকল্পনা নেওয়া হয়। তৈরি করা হয় নতুন শস্যবিন্যাস। উদ্বুদ্ধ করা হয় চাষিদের। আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। আশা করছি, এবার কৃষকরা সরিষার ভালো ফলন ও দাম পাবে।
বাবু/জেএম
দোয়া আর নফল ইবাদতে হোক নববর্ষের সূচনা
পেলের শেষ শয্যা হবে ১৪ তলা ভবনে
দ্বিতীয় সেরার পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করলেন সালাহউদ্দিন
নতুন বছরে জঙ্গি মোকাবিলায় র্যাব প্রস্তুত : ডিজি
অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন আর নেই
ফিফা বিশ্বকাপ এবং আমাদের অর্জন
খাল ভরাট হয়ে অনাবাদি ১০০ বিঘা জমি
রাঙ্গাবালীতে শ্রমিক লীগের আনন্দ মিছিল
গণভোটই রুশ-ইউক্রেন সংকটের সমাধান
