ঢাকা ডমিনেটর্সকে অল্প রানে বেঁধে ফেলে ২ উইকেটের জয় পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। এর মাধ্যমে নুরুল হাসান সোহানের দল নকআউট পর্বের টিকিট নিশ্চিত করল। অন্যদিকে নকআউট পর্বের দৌড়ে বাদ পড়ল ঢাকা ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ঢাকা ডমিনেটর্সের ১৩০ রানের জবাব দিতে নেমে ৩ বল হাতে রেখে জয় পেয়েছে রংপুর। যদিও শেষ দিকে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিলেন ঢাকার অধিনায়ক নাসির।
অল্প রান তাড়া করতে নেমে ৯ রানে ২ উইকেট হারায় রংপুর। শূন্য রানে নাঈম শেখ ও ৪ রানে বিদায় নেন মেহেদী হাসান। এরপর রনি তালুকদারকে নিয়ে ৯১ রানের জুটি গড়েন নুরুল হাসান সোহান। রনি ৩৪ রানে আউট হন নাসির হোসেনের বলে। স্কোর বোর্ডে রান স্থির থাকতেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন সোহান। ৩৩ বলে তিনি করেন ৬১ রান। শোয়েব মালিক ও মোহাম্মদ নেওয়াজ সাজঘরে ফেরেন ৪ বলের মাথায়।
১৯তম ওভারে ম্যাচ জমিয়ে তুলেন নাসির হোসেন। পরপর ২ বলে তিনি নেন শামিম হোসেন ও রাকিবুল হাসানের উইকেট। ১০ বলে শামিম ৮ ও রাকিবুল আউট হন শূন্য রানে। এরপর ওমরজাই ও হারিস রউফ মিলে রংপুরকে জেতান।
এর আগে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান করে ঢাকা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১১ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে ঢাকা। দলীয় ৫ রানে মোহাম্মদ মিঠুন, ৮ রানে নাসির হোসেন ও ১১ রানে বিদায় নেন সৌম্য সরকার। আবদুল্লাহ আল মামুন, আলেক্স ব্লেক ও আরিফুল হকরা কিছু সময়ের জন্য লড়াই চেষ্টা চালালেও তারা ব্যর্থ হন। ১৮ রানে ব্যাট করতে থাকা ব্লেককে সাজঘরে পাঠান হাসান মাহমুদ।
মামুনকে ২৩ রানের মাথায় মেহেদী হাসান ও আরিফুলকে ২৯ রানে ফেরান হারিস রউফ। ব্যর্থ হন অলরাউন্ডার মুক্তার আলিও। দলের হালই ধরতে পারেননি ৩৩ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার। আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ৭ রান। মোহাম্মদ নেওয়াজের বলে তিনি ক্যাচ দেন রাকিবুল হাসানকে।
উইকেটের মিছিলে টাইগার পেসার শরিফুল ইসলাম সংগ্রহটাকে একটু অধিকতর ভালো জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য মরিয়া ছিলেন। কিন্তু ১১ রান করার পর রানআউট হন তিনি। তার ইনিংসটা অবশ্য ছিল টেস্ট ঢংয়ে। শেষ দিকে রাকিবুলের ওভারে টানা দুই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে স্কোরটাকে কিছুটা হলেও ওপরে টেনে তোলার চেষ্টা করেন আমির হামজা। হামজা ১১ বলে করেন ১৫ রান।
-বাবু/এ.এস