বার্সেলোনায় থাকতে চেষ্টার কমতি ছিল না লিওনেল মেসির। অর্ধেক পারিশ্রমিকেও প্রিয় ন্যু-ক্যাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক অটুট রাখতে চেয়েছিলেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। তবে লা লিগার বেতন কাঠামোর অজুহাতে মেসিকে বিদায় করে ব্লাউগ্রানারা। পুরো প্রক্রিয়ার কলকাঠি নাড়েন হুয়ান লাপোর্তা। ঘটনার জেরে মেসি এবং তার পরিবারের চক্ষুশূল হয়ে যান বার্সা সভাপতি। গুঞ্জন উঠেছে, স্পেনে ফিরতে পারেন মেসি। আর তাই যদি হয়, মেসি ন্যু-ক্যাম্পে যোগ দেয়ার আগে লাপোর্তাকে লাথি মেরে বিদায় করতে চান তার ভাই মাতিয়াস মেসি।
মেসি বার্সেলোনা ছাড়ার পর নানা সময় তাকে স্পেনে ফেরানোর কথা বলেছেন ক্লাবটির সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা। এমন ঘটনায় বিরক্ত হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মেসির বাবা হোর্হে মেসি। এবার রাগ ঝারলেন মাতিয়াস। মেসির ভাতিজা টমি ভিডিও স্ট্রিমিং সার্ভিস ‘টুইচ’-এ নিজের বাবা মাতিয়াস ও বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন।
তখন মেসির ভাই বলেন, ‘আমরা (মেসি) বার্সেলোনায় ফিরব না। আর যদি ফিরি তাহলে সবকিছু পরিষ্কার করেই ফিরব। হুয়ান লাপোর্তাকে লাথি মেরে বের করব। মেসি বার্সাকে যা দিয়েছে তার প্রতি তার (লাপোর্তার) কোনো কৃতজ্ঞতাবোধ নেই।’
মাতিয়াসের দাবি, মেসির কারণেই বিশ্বব্যাপী পরিচয় পেয়েছে বার্সেলোনা। তিনি বলেন, ‘মেসির জন্যই সবার কাছে এতটা পরিচিতি পেয়েছে বার্সেলোনা। তার আগে তাদের কেউ চিনত না। বার্সেলোনায় গিয়ে কেউ জাদুঘর দেখে থাকলে দেখবেন সেটার পুরোটা মেসির।’
বার্সেলোনার সমর্থকদেরও ধুয়ে দেন মাতিয়াস। তিনি বলেন, ‘কেউ তাকে (বার্সা ছাড়ার সময়) সাহায্য করেনি। ওদের (সমর্থক) উচিত ছিল রাস্তায় নেমে পড়া, লাপোর্তাকে বিদায় করে মেসিকে রেখে দেয়া প্রয়োজন ছিল। কাতালানরা বিশ্বাসঘাতক। মা একবার লিওকে বলেছিল, ওরা তোমাকে রোনালদিনহোর মতো ভোগাবে।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাতিয়াসের সেই ভিডিও সাক্ষাৎকার ভাইরাল হলে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। এরপর নিজের বেফাঁস মন্তব্যের জন্য ক্ষমাও চান মাতিয়াস। তিনি বলেন, ‘আমি যা বলেছি তার জন্য ক্ষমা চাইছি। আমি কেবল আমার ছেলে এবং তার বন্ধুদের সঙ্গে রসিকতা করছিলাম। বার্সেলোনার মতো এত বড় ক্লাব সম্পর্কে আমি কীভাবে এমনটা ভাবতে পারি! কাতালুনিয়া আমাদের দ্বিতীয় বাড়ি। আমি খুবই দুঃখিত এবং আমি সবার কাছে ক্ষমা চাইছি, বিশেষ করে বার্সেলোনা ভক্তদের কাছে।’
বাবু/এ আর