অভিনেত্রী ইলিয়ানা ডিক্রুজের সন্তানের বাবা কে তা নিয়ে নানান জনের নানা প্রশ্ন ছিল। তবে এ বিষয়ে সবসময় মুখ বন্ধ রেখেছেন অভিনেত্রী।
সোশ্যাল মিডিয়ার একাংশ পাশে দাঁড়িয়েছে ইলিয়ানার। অনেকেই অভিনেত্রীর হয়ে মুখ খুলেছেন, কেন সন্তানের বাবাকে চিনতে উৎসাহী নেটপাড়া। কেন বাবার পরিচয় থাকতেই হবে সন্তানের? অবশেষে এই বিষয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী।
শনিবার সামাজিক মাধ্যমে একটি লম্বা পোস্ট করেন ইলিয়ানা। সঙ্গে তাঁর ও প্রেমিকের সাদা-কালো একটি ছবি।
ছবিতে স্পষ্ট, প্রেমিককে আলিঙ্গন করে রয়েছেন তিনি। তবে প্রেমিকের ছবি সমাজমাধ্যমের পাতায় পোস্ট করলেও এখনও সবটা খোলসা করেননি অভিনেত্রী। সন্তানের বাবার পরিচয় নিয়ে যেমন এত দিন ধোঁয়াশা রেখে দিয়েছিলেন, ছবিতেও রাখলেন সেই ধোঁয়াশাই। সাদা-কালো ঝাপসা ছবি দেখে ইলিয়ানার প্রেমিক যে ঠিক কে, তা ঠাহর করা দুষ্কর। তবে প্রেমিকের পরিচয় প্রকাশ্যে না আনলেও তাঁর উদ্দেশে কিছু কথা লিখেছেন ইলিয়ানা।
শনিবার (১০ জুন) সকালে প্রেমিকের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে ইলিয়ানা লেখেন, গর্ভবতী হওয়াটা খুব সুন্দর একটা আশীর্বাদ। আমি ভাবিনি যে আমি এমন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারব তাই এ যাত্রায় নিজেকে অসম্ভব সৌভাগ্যবতী মনে হচ্ছে। তোমার ভেতরে বেড়ে ওঠা একটা জীবন অনুভব করা কতটা সুন্দর, তা বর্ণনা করাও সম্ভব না।
বেশিরভাগ দিনই আমি আমার বাম্পের দিকে তাকিয়ে থাকি আর বলি আমি শিগগিরই তোমাকে দেখতে পাব আর তারপর এমন কিছু দিন আসবে, যে দিনগুলো খুবই কঠিন হয়ে যায়। তাই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বিষয়গুলো শুধুই হতাশাজনক মনে হচ্ছে।
অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘এই ভাবনা থেকেই চোখে জল আসে, তারপর অপরাধবোধ। আমার মাথার ভেতর যে কণ্ঠস্বর শুনতে পাই তা আমার কাছে হতাশাজনক। কিন্তু আমার কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত, এত তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে কান্নাকাটি করা উচিত নয়। আমার আরও শক্তিশালী হওয়া উচিত। যদি আমি যথেষ্ট শক্তিশালী না হই তাহলে আমি কেমন মা হব! আমি জানি না আমি কী ধরনের মা হব! আমি সত্যিই জানি না। আমি শুধু এটুকুই জানি যে আমি এই ছোট্ট মানুষটাকে খুব ভালোবাসি, আমি হয়তো ভেঙে পড়তে পারি তবে এখনকার জন্য আমার মনে হয় এইটুকুই যথেষ্ট’।
প্রেমিক সম্পর্কে ইলিয়ানা বলেন, ‘আর যে-সব দিন আমি ভুলে যাই যে আমার নিজের প্রতি আমার সদয় হওয়া উচিত, সেদিন সুন্দর মানুষটা আমার সহযোগী হয়ে ওঠে। যখন আমি ভেঙে পড়ি তখন সে আমাকে ধরে রাখে আর চোখের জল মুছে দেয়। আমাকে হাসাতে জোকস শোনায়। কখনো শুধু জড়িয়ে ধরে যখন সে জানে যে সেই মুহূর্তে আমার ঠিক এটাই দরকার। সবকিছু তখন আর কঠিন বলে মনে হয় না।’
সূত্র: আনন্দবাজার
-বাবু/এ.এস