২৮০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে ম্যাচের মোমেন্টাম নিজেদের পক্ষে আনতে অবদান রাখেন সাকিব-শান্ত জুটি। শেষমেশ তাওহীদ হৃদয় ও তানজিম সাকিবের ব্যাটে ৩ উইকেটের জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
শুরুটা ভালো করতে পারেনি টাইগাররা। প্রথম ওভারে চার ও ছক্কা হাঁকানোর পর দ্বিতীয় ওভারেও আগ্রাসী হতে যান ওপেনার তানজিদ হাসান। তবে মাদুশাঙ্কার বল ঠিকঠাক ব্যাটে লাগাতে পারেননি তিনি। ক্যাচ আউট হয়ে ৯ রানেই বিদায় নিতে হয় তাকে। এরপর লড়ে যাচ্ছিলেন লিটন। তবে লম্বা করতে পারেননি ইনিংস। মাদুশঙ্কার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে বিদায় নেন ২৩ রান করে।
শুরুর ধাক্কা সামলে নেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসান। যদিও ব্যক্তিগত ৭ রানে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের বলে একবার 'জীবন' পান সাকিব। শর্ট কাভারে তার ক্যাচ ছাড়েন আসালাঙ্কা। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দারুণভাবে রানের চাকা সচল রাখেন সাকিব। অন্যপ্রান্তে শান্তও খেলেন সাবলীলভাবে। বাংলাদেশের হয়ে এ আসরে এবারই প্রথম কোনো জুটিতে শতরান আসে তাদের ব্যাট থেকে।
অবশ্য শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরির দেখা পাননি কেউই। ৬৫ বলে ৮২ রান করে ম্যাথিউসের শিকার হন অধিনায়ক সাকিব। এরপর ১০১ বলে ৯০ রান করে ঐ ম্যাথিউসের বলেই বোল্ড হন নাজমুল হোসেন শান্ত।
এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকের ব্যাটে জয়ের পথে আগাতে থাকে বাংলাদেশ। কিন্তু থিকশানার বলে রিয়াদ বোল্ড হয়ে ফিরলে বাংলাদেশের জয় কিছুটা কঠিন হয়ে যায়৷
অবশ্য তাওহীদ হৃদয় ও তানজিম সাকিব আর কোনো চাপে পড়তে দেয়নি, ঠান্ডা মাথায় খেলে ম্যাচ জিতিয়ে আসেন।
এর আগে, দিল্লিতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভার ৩ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৭৯ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০৮ রান করেছেন চারিথ আসালঙ্কা। বাংলাদেশের হয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন তানজিম সাকিব।