ভোটের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, কেশবপুরে নির্বাচনী উত্তাপ ততই বেড়ে চলেছে। ভোটের আর মাত্র ২ দিন বাকী। শনিবার রাত পোহালেই রবিবারে ভোট। হাতে সময় নেই,তাই প্রার্থীরা কোমর বেঁধে উপজেলার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে চলেছে।
অন্যান্য বারের তুলনায় এবার কদর বেড়েছে সাধারন ভোটারদের। একদিকে যেমন পোষ্টার-ব্যানারে ছেয়ে গেয়ে গোটা কেশবপুর ঠিক, অন্য দিকে প্রার্থীদের নিয়ে নানা আলোচনা-সমলোচনায় বিভিন্ন হাট-বাজার, চায়ের দোকানসহ স্টল-আডডাখানা মাতিয়ে তুলেছেন সাধারন ভোটাররা।এক কথায়, কেশবপুরবাসীর মধ্যে এবার অন্য ধরনের ভোটের আমেজ দেখা দিয়েছে।
আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যশোর-০৬ কেশবপুর আসনে ৪ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে যাচেছন। ৪ জনের মধ্যে ৩ জনই আওয়ামীলীগের প্রার্থী। বাকী ১ জন জাতীয়পার্টির সমর্থিত প্রার্থী। আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীক নিয়ে খন্দকার আজিজুল ইসলাম আজিজ ও কাঁচি প্রতীক নিয়ে এইচ এম আমীর হোসেন অন্যদিকে নৌকা প্রতীক নিয়ে দলীয় প্রার্থী হিসেবে শাহিন চাকলাদার নির্বাচনী প্রচারনায় মাঠে রয়েছে। অপর দিকে দেরিতে হলেও জাতীয়পার্টির মনোনীত একমাত্র প্রার্থী জিএম হাসান লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ঢিলে-ঢালাভাবে নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে সাধারন ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,শাহিন চাকলাদার বহিরাগত হওয়ায় যশোরের ০৬ টি আসনের মধ্যে কেশবপুর সংসদীয় আসনে এবার নির্বাচন একটু ভিন্ন হতে যাচ্ছে। কারন এই আসনে স্থানীয় নেতাকে বাদ দিয়ে বহিরাগত শাহিন চাকলাদারকে আওয়ামীলীগের মনোনীত করায় তৃনমূল আওয়ামীলীগে ব্যাপক ক্ষোপের সৃষ্টি হয়। আর সেই ক্ষোভ থেকেই নৌকার বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের স্থানীয় ২ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য হয়। এ নির্বাচনে সিংহভাগ ভোটাররা নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় এবার কেশবপুরে ভোটের হিসার-নিকাশ পাল্টে গেছে। বিশেষ করে স্থানীয় প্রার্থী হিসেবে খন্দকার আজিজের ঈগল প্রতীকের পক্ষে এলাকার উঠতি বয়সি থেকে শুরু করে বুডো-ধাড়া এমনকি নারী ভোটাররা নিজের টাকা খরচ করে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে।
এক কথায়, উপজেলার প্রত্যেক গ্রাম-গঞ্জে ঈগলের গনজোয়ার সৃষ্ঠি হয়েছে।কাঁচির সাথে ঈগলের মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলেও দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের ব্যবধানে ঈগল বিজয়ী হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
আসন্ন যশোর-০৬ কেশবপুর সংসদীয় আসনে এবার মোট ভোট কেন্দ্রর সংখ্যা ৮১টি, মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ১৭ হাজার ৯শ ২৪ টি। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১লক্ষ ৯ হাজার ৯শ ১৩ ও মহিলা ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৮ হাজার ১০ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ০১ জন ভোটার রয়েছে।