অধিনায়ক শান্ত টেস্ট ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন দেড় বছরের বিরতি শেষে। আর মুশফিক পেয়েছেন ১২তম সেঞ্চুরি। তিনিও এমন ইনিংসের দেখা পেলেন ৯ মাস পর। দিনশেষে শান্ত ১৩৬ ও মুশফিক ১০৫ রানে অপরাজিত রয়েছেন। দুজন মিলে গড়েছেন ২৪৭ রানের জুটি। যা টেস্টের চতুর্থ উইকেটে দ্বিতীয় এবং সবমিলিয়ে বাংলাদেশের ষষ্ঠ সর্বোচ্চ জুটি।
মাত্র ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল বাংলাদেশ। এনামুল হক (০), শাদমান ইসলাম (১৪) ও মমিনুল হক (২৯) দ্রুত ফিরলে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। কিন্তু তারপরই দৃশ্যপট বদলে দেন দুই অভিজ্ঞ—নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম।
মাঠে কোনো হঠকারী শট ছিল না, ছিল শুধুই ধৈর্যের জয়গান। দিনের শেষ সেশনে শান্ত তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি (১৩৬*) এবং মুশফিকুর রহিমও তুলে নেন নিজের ১২তম শতক (১০৫*)।
এই জুটিতেই এসেছে ২৪৭ রানের অবিচ্ছিন্ন পার্টনারশিপ, যা লঙ্কান বোলারদের চেপে ধরেছে। শান্ত ২৬০ বলে ১৪টি চার ও একটি ছক্কায় করেছেন ১৩৬ রান, আর মুশফিক ১৮৬ বলে করেছেন ১০৫ রান, যেখানে ছিল ৫টি চারের মার।
লঙ্কান বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল থারিন্দু রত্নায়েকে ৩২ ওভারে ১২৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি উইকেট গেছে আসিথা ফার্নান্ডোর ঝুলিতে। তবে বড় চ্যালেঞ্জে পড়েছেন শ্রীলঙ্কার দুই প্রধান স্পিনার প্রভাত জয়াসুরিয়া ও রত্নায়েকে, যাদের বল আজ একেবারেই কাজে লাগেনি।
টেস্টের প্রথম দিনে বাংলাদেশের এমন শাসন যে গলে বিরলই বলা চলে। এ মাঠের প্রকৃতি অনুযায়ী প্রথম দুই দিন ব্যাটিংবান্ধব হয়ে থাকে, কিন্তু উইকেটের বৈশিষ্ট্যের পুরো সুবিধা নিয়েছেন শান্ত-মুশফিকরা।
কাল দ্বিতীয় দিনে আগ্রাসী ব্যাটিং ও দ্রুত রান তোলার চেষ্টাই হতে পারে টাইগারদের লক্ষ্য। অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কার জন্য এই ম্যাচে ফেরার লড়াই শুরু হবে কাল থেকেই।