ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস নতুন একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ভিডিওতে তিন নারী জিম্মিকে কথা বলতে দেখা গেছে।
এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) প্রকাশিত সেই ভিডিওটির দৈর্ঘ্য পাঁচ মিনিট। ভিডিওতে দেখা যাওয়া দুই নারী-ড্যানিয়েলা গিলবোয়া ও করিনা আরিয়েভ বলেছেন, তারা ইসরাইলি সেনা। তৃতীয় নারী ডোরন স্টেইনব্রেচার বলেছেন, তিনি একজন বেসামরিক নাগরিক।
তরুণীরা জানিয়েছেন, গত ১০৭ দিন ধরে বন্দি রয়েছেন তারা। সেই হিসাবে ভিডিওটি রবিবার ধারণ করা হতে পারে।
শুক্রবারের রায়ে বিশ্ব আদালত গাজা উপত্যকায় বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করার পাশাপাশি উপত্যকায় ত্রাণ সরবরাহ বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়ে রায় দিয়েছেন। রায় ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভিডিওটি প্রকাশ করে হামাস।
রুলে যেসব পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ইসরাইলকে গাজা উপত্যকায় চলমান সামরিক অভিযান স্থগিত করার নির্দেশ।
আদালত আরও বলেছেন, ইসরাইলকে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, তার বাহিনী গণহত্যা চালাচ্ছে না এবং হামলার ফলে গাজায় যে মানবিক বিপর্যয় তৈরি হয়েছে তার উন্নতিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
কি পদক্ষেপ নেয়া হলো ও পরিস্থিতির কতটুকু উন্নতি হলো সে ব্যাপারে ইসরাইলকে আগামী এক মাসের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট করতে হবে বলে রুলে বলা হয়েছে।
আদালত আরও বলেছেন যে, ইসরাইলকে অবশ্যই গাজায় গণহত্যার প্ররোচনা প্রতিরোধ ও এর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তি দিতে হবে। আরও বলেছেন, ইসরাইলকে অবরুদ্ধ উপত্যকার ক্ষুধার্ত মানুষগুলোর কাছে মানবিক ত্রাণ সহায়তার পৌঁছানের সুযোগ দিতে হবে।
এছাড়া ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষার জন্য অন্যান্য ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। তবে সামরিক আগ্রাসন বন্ধ করা বা যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা দেননি।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইল সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালিয়ে সামরিক-বেসামরিক ইসরাইলি ও বিদেশি নাগরিকসহ ১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করে হামাস। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জন ইসরাইলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে।
সেই হামলার জবাবে টানা গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। গত সাড়ে তিন মাসের বেশি সময় গাজায় নিহত হয়েছেন ২৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন ৬০ হাজারের বেশি।