পাঠ্যপুস্তক থেকে ট্রান্সজেন্ডার শিক্ষাসহ সবধরনের নির্লজ্জ, অনৈতিক, অনৈসলামিক ও নাস্তিকতা শিক্ষা বাদ দেওয়া এবং শিক্ষা কারিকুলামে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি জানিয়েছে খুলনা জেলা ইমাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু শিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব দাবি জানান তারা।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি মাওলানা মোস্তফা। তিনি বলেন, পাঠ্যপুস্তকে মানুষের আত্মপরিচয়ের ক্ষেত্রে নাম, লিঙ্গ, বয়স, পছন্দের খাবার, পোষাক, শখ উল্লেখ থাকলেও ধর্মের পরিচয় সেখানে নেই। একটি বই থেকে ইসলামের অকাট্য ফরয বিধান জিহাদ পরিপূর্ণ বিলুপ্ত করা হয়েছে। এছাড়া ছেলে মেয়ের বয়োঃসন্ধিকালীন স্পর্শকাতর বিষয়গুলো এমনভাবে তুলে ধরা হয়েছে তাতে স্বভাবজাত লজ্জা-শরম কারো মাঝে থাকবে না। আরও বলেন, নবম শ্রেণির একটি বইতে সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই, শ্লোগানটি দৃশ্যত ভালো মনে হলেও এর উদ্দেশ্য পুরোটাই খারাপ। কেননা এর মাধ্যমে ধর্মীয় বিষয়কে বর্জন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন বক্তারা। সংবাদ সম্মেলনের এমন ইসলামবিরোধী ১০টি বিষয় তুলে ধরা হয়। যা দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিবর্তনের আহবান জানান তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইমাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুজমুল সাঈদ, সহ সাধারণ সম্পাদক জিহদুল ইসলামসহ কারামত আলী, হেকমত আলী শেখ, আনোয়ারুল আজিম, আবুল কালাম আজাদ, নাসির উদ্দিন কাশেমী, সিরাজুল হক প্রমুখ।