সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ ৩০ আষাঢ় ১৪৩২
সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫
সেন্টমার্টিন যেতে পর্যটকদের দিতে হবে ‘ফি’
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫, ৭:১৯ PM
সেন্ট মার্টিনের বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হচ্ছে। পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল স্থানীয়দের দক্ষতার উন্নয়ন করে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে সরকার। পাশাপাশি দ্বীপের প্রতিবেশ রক্ষায় পর্যটকদের ওপর ধার্য করা হবে পরিবেশ সংরক্ষণ (এনভায়রনমেন্টাল কনজারভেশন) ফি।

পরিবেশ অধিদপ্তরে সেন্ট মার্টিনের ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা নিয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব বিষয় উঠে এসেছে। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আমাদের অনেকগুলো দ্বীপ আছে। কিন্তু সেন্ট মার্টিনের মতো প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন দ্বীপ একটাই। এ দ্বীপের বাস্তুতন্ত্র রক্ষার অংশ হিসেবে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য তিন বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প সরকার হাতে নিয়েছে। আগস্ট মাস থেকে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।’

সভায় পর্যটকদের কাছ থেকে পরিবেশ সংরক্ষণ ফি আদায় করার সিদ্ধান্ত হয়। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ এই ফি সংগ্রহ করবে। আদায়কৃত অর্থ দিয়ে দ্বীপের পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণ করা হবে বলে জানান পরিবেশ উপদেষ্টা। তবে পর্যটকদের ওপর কত টাকা ফি ধার্য করা হবে, সেটা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, সেন্ট মার্টিনে প্রাথমিকভাবে ৫০০ পরিবারকে নির্বাচন করা হয়েছে। তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী বাড়ির আঙিনায় হাঁস-মুরগি পালন, চিপস তৈরি ও কৃষিবিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে সেন্ট মার্টিনে দুজন কৃষি কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময়কালে মৎস্য অধিদপ্তর সেন্ট মার্টিনের জেলেদের জন্য সহায়তার পরিমাণ বাড়াবে বলে জানান তিনি।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, অক্টোবর মাসের পর থেকে সেন্ট মার্টিনে একবার ব্যবহার্য (সিঙ্গেল ইউজ) প্লাস্টিক প্রবেশ করবে না। সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে এ বিষয়ে অবহিত করা হবে। এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলোকে প্লাস্টিকের বিকল্প নিয়ে আসতে হবে।

প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক এ কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, সেন্ট মার্টিনে ১০ হাজার বাসিন্দা আছেন। তাঁদের প্রত্যেকে এ প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। দ্বীপের পরিবেশ রক্ষায় পরিবেশ প্রহরী নিয়োগ দেওয়া হবে। পর্যটনের কারণে সেন্ট মার্টিনে কৃষিকাজ হ্রাস পেয়েছে। এখানে জমির ধরন অনুযায়ী স্থানীয়দের কৃষি সহায়তা দেওয়া হবে। এখানে জলবায়ু–সহিষ্ণু জাতের ধান চাষের প্রচলন করা হবে।

এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করা, জীববৈচিত্র্য ফেরাতে সৈকতজুড়ে নির্বাচিত এলাকায় সাগরলতা লাগানো ও কেয়া বন সৃষ্টি করা হবে বলে জানান পরিবেশ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত