ভাষা আন্দোলন, শিল্পকলা, ভাষা ও সাহিত্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এবারের একুশে পদক পাচ্ছেন ২১ জন। তাদের মধ্যে প্রয়াত কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহসহ ছয়জন মরণোত্তর এ সম্মাননা পাচ্ছেন। এর মধ্য দিয়ে মৃত্যুর ৩৩ বছর পর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাচ্ছেন কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ২০২৪ সালের একুশে পদকের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এবার ভাষা আন্দোলনে মরণোত্তর একুশে পদক পাচ্ছেন মো. আশরাফুদ্দীন আহমদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া (মরণোত্তর)। শিল্পকলার বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে সংগীতে একুশে পদক পাচ্ছেন জালাল উদ্দীন খাঁ (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ, বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর) ও শুভ্র দেব। নৃত্যকলায় সম্মাননা পাচ্ছেন শিবলী মোহাম্মদ, অভিনয়ে ডলি জহুর ও এম এ আলমগীর, আবৃত্তিতে খান মো. মুস্তাফা ওয়ালীদ (শিমুল মুস্তাফা) ও রূপা চক্রবর্তী।
চিত্রকলায় শাহজাহান আহমেদ বিকাশ এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিংয়ে কাওসার চৌধুরীকে একুশে পদক দেওয়া হচ্ছে। সমাজসেবায় এ সম্মাননা পাচ্ছেন আলহাজ রফিক আহামদ ও মো. জিয়াউল হক। এছাড়া, ভাষা ও সাহিত্যে পদক পাচ্ছেন মুহাম্মদ সামাদ, লুৎফর রহমান রিটন ও মিনার মনসুর।
কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ ১৯৫৬ সালে বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে ১৯৯১ সালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তাঁর বিখ্যাত কবিতা ‘বাতাসে লাশের গন্ধ’। চলচ্ছিত্রের জনপ্রিয় গান ‘ভালো আছি ভালো থেকো’র গীতিকার ছিলেন এই কবি।