দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিনে প্রতিবেদন প্রকাশের পর অবশেষে নিজ নামে ফিরল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১১নং দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডের বহুল পরিচিত অন্যতম প্রাচীন প্রাণহরি দাশ সড়ক।
চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের ১৫ তারিখ “প্রাণহরি দাশ সড়কের নাম পরিবর্তন : জনমনে ক্ষোভ” শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়৷ প্রতিবেদন প্রকাশের পর চট্টগ্রাম নগরী সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়৷ একজন দানবীর ব্যক্তির নামে সুপরিচিত সড়কের নাম পরিবর্তন নিয়ে বিশিষ্ট জনরা প্রতিবাদ জানান৷ বিশেষ করে চট্টগ্রামের দক্ষিণ কাট্টলীর তৎকালীন জমিদার ও জনহিতৈষী, দানবীর ব্যক্তিত্ব প্রাণহরি দাশের নিজ উদ্যোগে নির্মিত সড়কটি থেকে তারই নাম বাদ দেয়ায় দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ কাট্টলীর বারুণী স্নান ঘাট থেকে পাহাড়তলী বাজার পর্যন্ত সুদীর্ঘ সড়কটি "প্রাণহরি দাশ সড়ক" নামেই প্রাচীনকাল থেকে সুপরিচিত। দক্ষিণ কাট্টলীর স্বনামধন্য জমিদার প্রাণহরি দাশ ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুতে এলাকার জনগণের যাতায়াত ও মালামাল পরিবহনের সুবিধার স্বার্থে তাঁর নিজ উদ্যোগে এই সড়কটি নির্মাণ করেন। আর এস, পিএস এমনকি বিএস সিটেও সড়কটি প্রাণ হরিদাশ সড়ক নামেই উল্লেখ আছে।
অথচ সম্প্রতি সংস্কারের পর উদ্বোধনী ফলকে সেই নাম পরিবর্তন করে “লোহার পুল” উল্লেখ করা হয় যা স্বয়ং চসিক মেয়র এম রেজাউল করিম উদ্বোধন করেন৷ একই উদ্বোধনী ফলকে স্থানীয় ১১নং দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর অধ্যাপক মোঃ ইসমাইল ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর হুরে আরা বেগমের নাম শোভা পায়। তবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন জানিয়েছিল, শুধুমাত্র প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্যেই এই নাম করণ৷ সংষ্কার কাজ শেষ হলেই সড়কটি ফিরবে আদী নামে।