রবিবার ২২ জুন ২০২৫ ৮ আষাঢ় ১৪৩২
রবিবার ২২ জুন ২০২৫
সিনেমায় ভালোবাসার রঙ
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৬:৩৪ PM আপডেট: ১৯.০২.২০২৪ ৭:০১ PM
যদি সিনেমায় ভালোবাসার রঙ ছড়িয়ে যায় তাহলে কেমন হয়? তাহলে জেনে নেই বিশ্বের অন্যতম সেরা দশ রোমান্টিক চলচ্চিত্র সম্পর্কে-

টাইটানিক (১৯৯৭)
২০১২ সালে তার নির্মিত ‘টাইটানিক’ ছবিটি এখনো সমানভাবে জনপ্রিয় তরুণ প্রজন্মের কাছে। ১১টি বিষয়ে অস্কার জিতেছিল তার এই সিনেমা। একই সঙ্গে ব্যবসায়িক সাফল্যও পেয়েছে টাইটানিক। বিশ্বের বেশি আয় করা সিনেমার মধ্যে এটিও অন্যতম।

আর এতে অভিনয় করে সবার মনের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও ও কেট উইন্সলেট। এই রোমান্টিক জুটি এখনো জনপ্রিয়তার শীর্ষে সিনেমাপ্রেমিদের কাছে। ছবিটি তৈরি করেছেন অস্কার জয়ী পরিচালক জেমস ফ্রান্সিস ক্যামেরন।
টাইটানিকের সবচেয়ে জনপ্রিয় দৃশ্য

টাইটানিকের সবচেয়ে জনপ্রিয় দৃশ্য













মহাকালের জয়রথে হয়ত আরও আরও ইতিহাস রচিত হবে চলচ্চিত্রের হাত ধরে। তবে আমাদের মনে টাইটানিক যতটা নিবিড় ও সংগোপনে দাগ কেটে গেঁথে রয়েছে “দ্য হার্ট অব দ্য ওশান” হয়ে, পরবর্তী কোনো ইতিহাসে কী সেটা মুছে যাওয়ার দাবীদার? নিঃসন্দেহে না! যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তির হিসেবে টাইটানিকের বয়স এখন ২৩ বছর চলছে! গত দুই যুগে টাইটানিক গড়েছে অসংখ্য রেকর্ড! ২০০ মিলিয়ন বাজেটের টাইটানিক ওয়ার্ল্ড ওয়াইড আয় করেছে ২.১৮৭ বিলিয়ন ইউ এস ডলার!

" align=



















টাইটানিক’ই পৃথিবীর প্রথম সিনেমা, যা বিলিয়ন ডলার আয়ের রেকর্ড গড়ে! মাথা চুলকাতে চুলকাতে টাকার হিসেব করতে গিয়ে দ্বিধায় পড়ে গিয়েছিলাম, আসলেই এতো টাকা? ১৮০৮৯৪৪২৪৫০০/-! মুক্তির পর থেকেই টাইটানিক বক্স অফিস এবং সমালোচকদের মুখ, দুটোই সমান তালে জয় করতে থাকে। 
লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও ও কেট উইন্সলেট

লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও ও কেট উইন্সলেট




















পৃথিবীর সেরা চলচ্চিত্র পুরস্কার মঞ্চ একাডেমী এওয়ার্ডে (অস্কার) ১৪ টি নমিনেশন পাওয়ার সাথে সাথে সবচেয়ে বেশী, ১১টি একাডেমী এওয়ার্ড ঝুলিতে ভরেছে টাইটানিক! ২০১০ সালে অ্যাভাটার মুক্তির আগ পর্যন্ত টাইটানিক’ই ছিলো হায়েস্ট গ্রসিং ফিল্ম ইন দ্য ওয়ার্ল্ড!

" align=










অদ্যাবধি টাইটানিকের জয়রথ চলছেই। সেই জয়রথের ধারাবাহিকতার রেশ ধরেই টাইটানিকের ২০ তম এনিভার্সারীতে আবারও মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো টাইটানিক কতৃপক্ষ। আমেরিকার ন্যাশনাল ফিল্ম রেজিস্ট্রি কতৃক টাইটাইনিক সিলেক্টেড হয়েছে তাদের সংরক্ষিত ফিল্মের তালিকায়! নিঃসন্দেহে দারুন এক অর্জন! সেই ছোট্ট বেলায় যখন মা খালাদের কিবা বড় ভাই, মামাদের সাথে ডিভিডি প্লেয়ার আর ক্যাসেট ভড়া করে টাইটানিক দেখেছি, ক’জনই বা এত কিছু ভেবেছি! ভাবার সময়ই দেয়নি প্রিয় জ্যাক আর রোজ জুটি! প্রেমের সম্পাদ্য কিবা উপপাদ্যে মাতিয়ে রেখেছিলো পুরোটা সময়জুড়ে। 

রোমান হলিডে (১৯৫৩)
রোমান হলিডে ১৯৫৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হলিউডের আরেকটি রোমান্টিক সিনেমা। উইলিয়াম ওয়াইলার প্রযোজিত ও পরিচালিত এই চলচ্চিত্রে কাগজের রিপোর্টার জো ব্রাডলি চরিত্রে অভিনয় করেছেন গ্রেগরি পেক এবং পালিয়ে রোম নগরী দেখতে যাওয়া রাজ সিংহাসনের পরবর্তী উত্তরাধিকারিণী প্রিন্সেস চরিত্রে অভিনয় করেন ব্রিটিশ অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্ন।

তিনি এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্যে সেরা অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। অড্রে হেপবার্নকে অপরুপা হিসেবে এখনো চিনে সবাই। সিনেমায় তার অসাধারণ অভিনয় দাগ কাটে সবার মনে।

কিছু কিছু মুভি আছে, যেসব মুভির ইফেক্ট সারা জীবন মানুষের মধ্যে থেকে যেতে পারে। কিছু মুভি আছে, যেসব মুভি থেকে পাওয়া মেসেজ মানুষের জীবনকে পাল্টে দিতে পারে। অন্যদিকে, এমন কিছু মুভিও আছে, যেসব মুভি মানুষের মনকে খুব ভালো লাগার অনুভূতিতে ভাসিয়ে দিতে পারে। আবার, এমনও কিন্তু হয় যে কিছু ট্রেডমার্ক মুভি দেখাটা যেন গর্বের বিষয়, বরং না দেখাটা হয়ে দাড়ায় প্রেস্টিজ ইসু! সেসব মুভিকে আমরা বলি এভারগন মুভি, সেসব মুভিকে আমরা বলি গোল্ড মুভি। তেমন একটি মুভিই হলো রোমান হলিডে, যে মুভিটি সাদাকালো হওয়ার পরেও আজও মানুষের মনে চির রঙিন।
রোমান হলিডে

রোমান হলিডে




















প্রথমেই জানিয়ে দেই মুভির ডিরেক্টরের নাম। উইলিয়াম উইলার। জন্ম ১ জুলাই, ১৯০২, জার্মানীতে; মৃত্যু (হার্ট-এটাকে) ২৭ জুলাই, ১৯৮১, আমেরিকায়। জিতেছেন তিনটি অস্কার সহ ১৮ টি পুরস্কার। রোমান হলিডে তার ৫৯ তম মুভি। ১৯২৫ সালে তার দি ক্রুক বাস্টার মুভির মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী ডিরেক্টর হওয়ার রেকর্ড গড়েন। ১৯৫৪ সালে রোমান হলিডে মুভির জন্য অস্কারে বেস্ট ডিরেক্টর নমিনেশন পেলেও শেষ পর্যন্ত তিনি কিন্তু পুরস্কারটি পাননি।

" align=













মুভির নায়ক রিপোর্টার জো ব্রাডলি চরিত্রে অভিনয় করেছেন গ্রেগরি পেক। পুরো নাম এলড্রেড গ্রেগরি পেক। জন্ম ৫ এপৃল ১৯১৬, আমেরিকায়; মৃত্যু (কার্ডিওরেসপিরেটরি এ্যারেস্ট ও ব্রঙ্কনিউমোনিয়ায়) ১২ জুন ২০০৩, আমেরিকাতেই। জিতেছেন অস্কার সহ ৩৩ টি পুরস্কার। ১৯৬২ সালে টু কিল এ মকিংবার্ড-এর জন্য বেস্ট এ্যাক্টর ইন এ লিডিং রোল ক্যাটাগরিতে অস্কার জিতলেও নমিনেশনই পাননি রোমান হলিডের জন্য। রোমান হলিডে তার ২০ তম মুভি। তার অন্যতম বিখ্যাত মুভির নাম স্পেলবাউন্ড।

মুভির নায়িকা প্রিন্সেস এ্যান চরিত্রে রূপদান করেছেন অড্রে হেপবার্ন। পুরো নাম অড্রে ক্যাথলিন রাস্টন। জন্ম ৪ মে, ১৯২৯, বেলজিয়ামে; মৃত্যু (কলন ক্যান্সারে) ২০ জানুয়ারি, ১৯৯৩, সুইজারল্যান্ডে। জিতেছেন অস্কার সহ ২৪ টি পুরস্কার। রোমান হলিডে তার ৯ম ছবি হলেও বড় কোন চরিত্রে এটিই তার প্রথম মুভি। আর তা দিয়ে ১৯৫৪ সালে বেস্ট এ্যাকট্রেস ইন এ লিডিং রোল ক্যাটাগরিতে জিতেছেন অস্কার পুরস্কার। এই মুভির জন্য পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন তখনকার সময়ে ১২,৫০০ আমেরিকান ডলার।
রোমান হলিডে মুক্তি পায় ১৯৫৩ সালে

রোমান হলিডে মুক্তি পায় ১৯৫৩ সালে




















রোমান হলিডে ছিলো মূলত ডিরেক্টর ফ্রাঙ্ক কাপ্রার প্রজেক্ট। সেটা ১৯৪৯ সালের ঘটনা। তিনি জো ব্রাডলি ও পৃন্সেস এ্যান-এর চরিত্র দুইটি যথাক্রমে ক্যারি গ্রান্ট ও এলিজাবেথ টেলর-কে দিয়ে করাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরে তার লিবারটি ফিল্মস প্রডাকশন কোম্পানি ফিনানশিয়াল প্রবলেমে পড়ে যায় এবং তিনি কোম্পানিটি প্যারামাউন্ট-এর কাছে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন। ব্লাকলিস্টেড রাইটার ডাল্টন ট্রুমবোর সাথে প্যারামাউন্টের সম্পৃক্তি ও টাইট বাজেটের কারনে তিনি এই প্রজেক্ট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। রোমান হলিডের অরিজিনাল স্টোরি এই ডাল্ট ট্রাম্বোরই লেখা। ইটালিতে প্যারামাউন্টের কিছু এ্যাসেট এমনিতেই পড়ে ছিলো। তাই রোমে শুটিংয়ের সময় তারা এই এই এ্যাসেটের এ্যাডভানটেজ পেয়েছিলো। ডিরেক্টর উইলিয়াম উইলার প্রথমে জিন সিমনস-কে দিয়ে প্রিন্সেস অ্যানের পার্ট করাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সিমনস তখন ছিলেন সময় দিতে পারেননি। কিন্তু শেডিউল জটিলতায় তার আর ইতিহাসের অংশ হওয়া হলো না।

পুরো শুটিং ইটালিতে হওয়া প্রথম আমেরিকান মুভি এই রোমান হলিডে। মুভির বাজেট ১.৫ মিলিয়ন আমেরিকান ডলার হলেও, এটি তৈরি করতে লেগে যায় ৫ মিলিয়ন ডলার। মুভির শুটিংয়ের সময় ইটালিতে চলছিলো গ্রীষ্মকাল। তাপমাত্রা ছিলো গড়ে প্রায় ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ৯০ ডিগ্রি ফারেনহাইট।

রোমিও জুলিয়েট (১৯৯৬) 
প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম শেক্সপিয়ার রচিত একটি বিয়োগান্তক নাটক, যা নির্মিত হয় দুজন প্রেমিক-প্রেমিকার অনবদ্য প্রেম আর ত্যাগকে কেন্দ্র করে। পরবর্তী সময়ে তাদের মৃত্যু বিবাদমান দুই পরিবারকে একত্রিত করে। এটি শেকসপিয়রের জীবদ্দশায় সবচেয়ে জনপ্রিয় ও পাঠকনন্দিত নাটকও ছিল। বলাই বাহুল্য সেটি সিনেমার চিত্রপটে আঁকা হলে কতটা জনপ্রিয় হতে পারে।
শেকসপিয়রের জনপ্রিয় নাটক অবলম্বনে তৈরি হয় সিনেমাটি

শেকসপিয়রের জনপ্রিয় নাটক অবলম্বনে তৈরি হয় সিনেমাটি


















উইলিয়াম শেকসপিয়ারের রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট নাটক অবলম্বনে চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন ব্যাজ লুরমান। এতে অভিনয় করেন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও ও ক্লেয়ার ডেইন্স। প্রেমিক যুগল বা রোমান্টিক জুটির প্রেম উপাখ্যান দাগ কাটে দর্শক মনে। আজও যেনো সেই জুটি প্রেম বার্তা পৌঁছে দেয় সবার কাছে।

স্প্রিং, সামার, ফল, উইন্টার...অ্যান্ড স্প্রিং (২০০৩)
এইতো কদিন আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা কিম কি-দুক। সিনেমার পর্দায় কবিতা লেখা, সিনেমার এক গল্পের মধ্যে হাজারো গল্পের সৃষ্টি করা, সিনেমাকে ঠিক সিনেমার কাঠামো থেকে বের করে এনে দর্শকের সামনে হাজির করেছিলেন বিশ্বনন্দিত নির্মাতা কিম কি-দুক।
কোরিয়ান প্রেমের গল্প নিয়ে নির্মিত সিনেমাটি

কোরিয়ান প্রেমের গল্প নিয়ে নির্মিত সিনেমাটি


















তারই অসাধারণ তৈরি করা এই অসাধারণ সিনেমাটি। প্রেম, আকাঙ্খা এবং মুক্তির বিষয়ে একটি বৌদ্ধ গল্পের সিনেমা এটি। কোরিয়ান প্রেমের গল্পটি একটি বিচ্ছিন্ন ভাসমান মন্দিরে একজন যুবকের আগমনের ঘটনাকে ঘিরে চিত্রায়ন করা হয়। কিম কি-দুক চলে গেলেও থেকে যাবে বামপন্থী ঘরানার এই সিনেমা আঁকিয়ের অসাধারণ গল্প।

দ্য শেপ অব ওয়াটার (২০১৭)
গিয়ের্মো দেল তোরো পরিচালিত প্রণয়ধর্মী কল্প-বিজ্ঞান সংমিশ্রণের এক অসাধারণ চলচ্চিত্র। এটি যৌথভাবে নির্মাণ করেন দেল তোরো ও ভ্যানেস টেলর। এতে অভিনয় করেন স্যালি হকিন্স, মাইকেল শ্যানন, রিচার্ড জেনকিন্স, ডগ জোন্স, মাইকেল স্টুলবার্গ ও অক্টাভিয়া স্পেন্সার।
দ্য শেপ অব ওয়াটার সিনেমার পোস্টার

দ্য শেপ অব ওয়াটার সিনেমার পোস্টার



















১৯৬২ সালের বাল্টিমোরের পটভূমিতে নির্মিত চলচ্চিত্রটিতে কড়া নিরাপত্তায় ঘেরা এক সরকারি গবেষণাগারে কর্মরত একজনের সঙ্গে সেখানে বন্দী মানুষের মত দেখতে অ্যাম্ফিবিয়ান প্রজাতির সঙ্গে প্রণয় দেখানো হয়েছে। সিনেমার প্রতিটি দৃশ্যপট অসাধারণ বলেই হয়তো এটিকে দর্শকদের বিমোহিত করে।

প্রিটি উইম্যান (১৯৯০)
একটি মাত্র ছবিই অন্য আট-দশজন পরিচালকের কাছ থেকে গ্যারি মার্শালকে আলাদা করে। ছবির নাম ‘প্রিটি উইম্যান’। ১৯৯০ সালে নির্মিত হয় সিনেমাটি। সহজ সুন্দর করে পরিচালক তুলে ধরেছেন অসাধারণ এক প্রেমের গল্প।
১৯৯০ সালে মুক্তি পায় সিনেমাটি

১৯৯০ সালে মুক্তি পায় সিনেমাটি

















জুলিয়া রবার্টস আর রিচার্ড গিয়ার অভিনীত অসাধারণ এই ছবি মাতিয়ে দিয়েছিল বিশ্বকে। পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন এই পরিচালক। কিন্তু তার সেই সিনেমা আজও নারীদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয়।

ইটারনাল সানশাইন অফ আ স্পটলেস মাইন্ড (২০০৪)
ব্রিটিশ অভিনেত্রী কেইট উইন্সলেটের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় হিট সিনেমা ‘টাইটানিক’ হলেও চলচ্চিত্রপ্রে মীরা তাকে সবসময়ই মনে রাখবেন ‘ইটারনাল সানশাইন অফ আ স্পটলেস মাইন্ড’ সিনেমার নীল চুলের স্বাধীনচেতা মেয়ে ক্লেমেন্টাইন ক্রসিনস্কি হিসেবে।

অন্যদিকে কৌতুকাভিনেতা হিসেবে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি পেলেও জিম ক্যারির ক্যারিয়ারের অন্যতম মাইলফলক এই সিনেমা। আলেকজান্ডার পোপের কবিতা থেকে ধার করা শিরোনাম দিয়ে সেলুলয়েডের ফিতায় বেঁধে ফেলেছিলেন মাইকেল গন্ড্রি। চার্লস কফম্যানের অনবদ্য চিত্রনাট্যে সিনেমাটি হয়ে উঠেছে আরও উপভোগ্য।
জিম ক্যারির ক্যারিয়ারের অন্যতম মাইলফলক এই সিনেমা

জিম ক্যারির ক্যারিয়ারের অন্যতম মাইলফলক এই সিনেমা









প্রথম পরিচয়, প্রেমে পড়া, ধীরে ধীরে ভালবাসায় নিমজ্জিত হওয়া, আবার সেই ভালবাসার প্রতিই একসময় নিরাসক্ত হয়ে পড়া - আর দশটা মানবিক সম্পর্কের মতোই জোয়েল এবং ক্লেমেন্টাইনের ভালোবাসার গল্প এটি।

দ্যা অ্যাপার্টমেন্ট (১৯৬০)
বিলি ওয়াইল্ডার প্রযোজিত ও পরিচালিত ১৯৬০ সালের সিনেমা দ্যা অ্যাপার্টমেন্ট। বক্স-অফিসে দারুণ জনপ্রিয় হওয়া সিনেমাটি সমালোচকদেরও মন জয় করে নিয়েছিল সমানভাবে। 
১৯৬০ সালের সিনেমা দ্যা অ্যাপার্টমেন্ট

১৯৬০ সালের সিনেমা দ্যা অ্যাপার্টমেন্ট


















জিতে নিয়েছিল সেরা চলচ্চিত্র, সেরা পরিচালনা এবং সেরা চিত্রনাট্যসহ পাঁচটি অস্কার।

ব্রিফ এনকাউন্টার (১৯৪৫)
সব প্রেমই কী পরিণতি পায়? কিছু প্রেম ছোটগল্পের মতো। ‘শেষ হইয়াও' যার শেষ হতে চায় না। আর এই অসম্পূর্ণতাতেই যেন তাদের মাহাত্ম। ঠিক সেরকমই একটি গল্প নিয়ে সিনেমা ‘ব্রিফ এনকাউন্টার'-এর। ট্রেন যাত্রায় এক নিষিদ্ধ আকর্ষণের টানে যে প্রেমের শুরু, তা শেষও হয়ে যায় ট্রেনের হুইসেলের সঙ্গে সঙ্গেই।
ব্রিফ এনকাউন্টার সিনেমার পোস্টার

ব্রিফ এনকাউন্টার সিনেমার পোস্টার



















ক্লাসিক রোমান্টিক এই সিনেমায় ক্ষণিকের প্রেমিক-যুগলের ভূমিকায় অভিনয় করেন সিলিয়া জনসন এবং ট্রেভর হাওয়ার্ড। সেই সিনেমাটির পরিচালক ছিলেন ডেভিড লিন।

দিল ওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে (১৯৯৫)
বলিউডের শাহরুখ খান আর কাজলের অসাধারণ প্রেমের অভিনয় নজর কাড়ে দর্শকদের। একটি রোমান্টিক জুটি আর তাদের প্রেম ঘিরে পারিবারিক ঘটনার অসাধারণ গল্পকথন যেনো শেষ হবার নয়। ভারতীয় সংস্কৃতির মেলবন্ধনে তৈরি করা এই সিনেমা এখনো জনপ্রিয়তার তালিকায় রয়েছে দর্শকদের। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন আদিত্য চোপড়া এবং এটিই তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র। 

" align=














এ ছবি ঘিরে উন্মাদনা আজও। এটি দশটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পায়, যার মধ্যে সেরা ছবি, সেরা অভিনেতা, সেরা অভিনেত্রী ও সেরা পরিচালকের পুরস্কারও রয়েছে। শাহরুখ-কাজলের জুটির এ ছবি ঘিরে এমন অনেক কথাই রয়েছে, যা হয়তো আপনার জানা নেই। একনজরে জেনে নিন, এমন অনেক অজানা তথ্য-
শাহরুখ খান ও কাজল

শাহরুখ খান ও কাজল

















‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ ছবিকে সংক্ষেপে ডিডিএলজে বলা হয়। এই ছবির নায়ক হিসেবে শাহরুখ খানকে কিন্তু প্রথমে ভাবেননি পরিচালক আদিৎয় চোপড়া। বলিউডে এ ছবির হাত ধরে হলিউড নায়ক টম ক্রুজকে অভিষেক করাতে চেয়েছিলেন যশরাজ পুত্র। ছবির নাম কী হবে, তার প্রস্তাব দিয়েছিলেন অভিনেত্রী কিরণ খের। ‘পলট’ নিশ্চয়ই আপনার মনে আছে। সেই ঘাড় ঘুরিয়ে শাহরুখের চাহনি। ক্লিন্ট ইস্টউডের ‘ইন দ্য় লাইন অফ ফায়ার’ ছবি থেকে অনুপ্রাণিত।
বলিউডে তুমুল জনপ্রিয় ছিল মুভিটি

বলিউডে তুমুল জনপ্রিয় ছিল মুভিটি








রাজের চরিত্রটি সাইফ আলি খানকেও অফার করা হয়েছিল। কোনো কারণে সাইফ ছবিটি করতে পারেননি। শাহরুখ খানের সেই কালো রঙের লেদার জ্য়াকেটটি কিনেছিলেন উদয় চোপড়া। ক্যালিফোর্নিয়ায় হার্লে ডেভিডসনের স্টোর থেকে ৪০০ ডলার দামে জ্যাকেটটি কেনেন উদয়। ডিডিএলজে’র কাহিনী লিখতে মাত্র ১ মাস সময় লেগেছিল আদিত্য চোপড়ার।

এ ছবিতে শাহরুখ খান নাকি প্রথমে অভিনয় করতেই চাননি। তারপর নাকি অনেক বোঝানোর পর কিং খানকে রাজি করিয়েছিলেন আদিত্য। ছবির ‘মেহেন্দি লাগা কে রাখনা’- আজও বিয়েবাড়িতে বাজানো হয়।
‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ মুভির একটি পোস্টার

‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ মুভির একটি পোস্টার

















এ ছবিতে নাকি মাস্টারজি সরোজ খানের সঙ্গে একাধিকবার মতের অমিল হয়েছিল আদিত্য চোপড়ার। শেষমেশ কোরিওগ্রাফির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ফারাহ খানকে। ‘রুক কা ও দিল দিওয়ানে’-গানটি ফারাহ খানের কোরিওগ্রাফি করা। ছবিটি ঋষি কাপুর ও মাধুরী দিক্ষীতের ‘ইয়ারানা’ এবং দেব আনন্দ অভিনীত ‘গ্যাংস্টার’ ছবির সাথে ট্রিপল ক্ল্যাশে মুক্তি পায়। তবে সবচেয়ে ব্যবসাসফল হয় ডিডিএলজে। যশরাজ ফিল্মসের ব্যানারে শাহরুখ খান, কাজল ও আদিত্য চোপড়ার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ব্লকবাস্টার। যশরাজ ফিল্মস এর আগে কখনো এত বড় হিট পায়নি। তাদের আগের বাম্পার হিট ছবি যেমন ‘দাগ’, ‘কাভি কাভি’, ‘ডর’ ভালো আয় করলেও তা এই ছবির চেয়ে কম। সারা ভারতেই ছবিটি হিট ছিলো।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত