কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ফাঁসিয়াখালী টু রাজাখালী ইউনিয়নের সবুজ বাজার সংযোগ সড়ক। গ্রামীণ এই জনপদে প্রতিদিন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত। তাছাড়া ব্যস্ততম এই সড়কে নিয়মিত তিনশ’ থেকে চারশ’ গাড়ি চলাচল করে। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের জালিয়াখালী খালের ওপর অবস্থিত রাজাখালী নতুন ব্রীজ। যেটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ব্রীজের মাঝখানে বড় আকারের গর্ত দেখে গা শিউরে ওঠে। ঝুঁকিপূর্ণ এই ব্রীজ পারাপারে যে কোন সময় প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, গত তিন মাসের বেশি ব্রীজের এমন বেহালদশা বিরাজ করলেও কর্তৃপক্ষসহ অন্য কারোরই টনক নড়েনি। দুই বছর আগে ব্রীজের সমান মাঝখানে বড় গর্ত হয়েছিলো, সেটা মেরামত করা হয়েছে। রড থেকে আস্তর ঝরে পড়ে এখন তার সাইডে আরো একটি বড় গর্ত। দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার যেনতেন ভাবে কাজ বুুুঝিয়ে দিয়ে চলে গেছে।
জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ২০০৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ওই খালের উপর নির্মিত হয় ৩০ মিটার দীর্ঘ সেতু। তৎকালীন যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমেদ ব্রীজের নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
এই বিষয়ে রাজাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন জানান, এই ব্রিজটি উপজেলার সাথে আমাদের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম। আমি এ ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আনিসুল করিম প্রতিবেদকে জানান, বিশ বছর আগে নির্মিত হয় এ ব্রিজটি, তাই ঝুকিপূর্ণ। গত তিন মাস আগে ব্রিজের ভেঙে যাওয়া অংশ মেরামত করার জন্য পরিদর্শন করে গেছেন। তাছাড়া বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষকসহ আসা যাওয়াতে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বড় ধরনের মালামালের গাড়ী পারাপার বন্ধ হয়ে গেছে তিন মাস আগে।
এ বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা প্রকৌশলী আসিফ মাহামুদ জানান, ব্রীজের বিষয়ে আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রস্তাব দাখিল করেছি। অর্থায়ন সাপেক্ষে খুব দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।