রাজধানীতে জমে উঠেছে ঈদবাজার। বেড়েছে ক্রেতা সমাগম। প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত শহরের বিপণিবিতানগুলোর পাশাপাশি ফুটপাতের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। এবার নারীরা শাড়ির চেয়ে ভারতীয় থ্রি-পিসের দিকে ঝুঁকেছেন। নতুন ও বৈচিত্র্যপূর্ণ নকশার দেশি-বিদেশি থ্রি-পিস তরুণী ও কিশোরীদের নজর কেড়েছে। তরুণ ও কিশোরদের মন মজেছে দেশি পাঞ্জাবি ও টি-শার্টে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। এবার সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় থ্রি-পিস। পাশাপাশি ভারতীয় নায়রা, গারারা, সারারা, কাতান ও লেহেঙ্গা বেশি কিনছেন ক্রেতারা। তবে ক্রেতারা বলছেন, কাপড়ের দাম একটু বেশি রাখা হচ্ছে। ফলে কেনাকাটা করতে এসে বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাদের।
রাজধানীর নিউমার্কেট, গাউছিয়া, বসুন্ধরা সিটি, সীমান্ত স্কয়ার, যমুনা ফিউচার পার্ক, মৌচাক, আনারকলিসহ বিভিন্ন বিপণিবিতানে ইফতারের পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। এছাড়াও ফুটপাতের দোকানগুলোতে ছিল উপচেপড়া ভিড়।
ব্যবসায়ীরা জানান, রমজানের প্রথম দিকে ক্রেতা-সমাগম কম থাকলেও এখন বেড়েছে। নিজেদের পছন্দের জামা-কাপড়, প্রসাধনী ও জুতা কিনিতে বিভিন্ন দোকানে বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভিড় করছেন ক্রেতারা।
রাজধানীর নিউমার্কেটের এক বিক্রেতা বলেন, ‘এ বছর ঈদবাজারে দেশি সুতি থ্রি-পিসের সঙ্গে লেহেঙ্গা, বুটিকস, চোয়া, আড়ং, জিপসি, ভারতীয় থ্রি-পিস ও নাইরাকাটা ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে। ভারতীয় জারা, সারারা, ও থ্রি-পিস অনেকে পছন্দ করে কিনছেন। পাশাপাশি দেশি পোশাকের চাহিদাও রয়েছে। এছাড়া অরগেনজা, মেঘা, চান্দ্রিয়া, জয়পুরী, সারারা ও গারারা বেশি বিক্রি হচ্ছে। কাতান, বাড়িস, কারচুপি, বালাহার, মটকা এবং কাশ্মীরি কাতানেরও চাহিদা আছে। বেচাকেনা ভালোই হচ্ছে।’
এবার সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় থ্রি-পিস উল্লেখ করে গাউছিয়া মার্কেটের এক দোকান মালিক বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এবার বিক্রি বেড়েছে। দাম কিছুটা বেশি হলেও ক্রেতাদের সামর্থ্যের মধ্যেই আছে। নায়রা, গারারা, সারারা, কাতান, ভারতীয় থ্রি-পিস সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। শাড়ির মধ্যে বেশি বিক্রি হচ্ছে ফোর প্লে, মণিপুরী ও কাশ্মীরি কাতান বেশি চলছে। এছাড়া ইন্ডিয়ান লেহেঙ্গা বিক্রি হচ্ছে বেশ।’