শনিবার ৫ জুলাই ২০২৫ ২১ আষাঢ় ১৪৩২
শনিবার ৫ জুলাই ২০২৫
চর্মরোগে আক্রান্ত এমভি আবদুল্লাহর জিম্মি নাবিকরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৮:৫৪ PM
চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন ভারত মহাসাগরে সোমালিয়া জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিকরা। জাহাজে খাবার সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও স্বাদু পানির মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে। সংরক্ষিত পানি যাতে দ্রুত ফুরিয়ে না যায় এ কারণে রেশনিং করে পানির ব্যবহার করতে হচ্ছে। সপ্তাহে মাত্র এক দুই বারের বেশি গোসল করার সুযোগ পাচ্ছেন না। জাহাজে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য যেসব ওষুধপত্র ছিল সেগুলো ফুরিয়ে গেছে।

অপরদিকে দিন-রাত অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাহারায় থাকছে দস্যুরা। তবে দীর্ঘদিন থাকার কারণে নাবিকদের সঙ্গে দস্যুদের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এ কারণে নাবিকদের এখন আগের মতো নির্যাতন করছে না। থাকতে দেওয়া হচ্ছে নিজ নিজ কেবিনে। পাশাপাশি জাহাজের নিয়মিত কাজও করছেন নাবিকরা। স্বজনদের এসব কথা বলেছেন এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে অয়েলার পদে কর্মরত শামসুদ্দিন।

শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে শামসুদ্দিনের ভগ্নিপতি বদরুল ইসলাম বলেন, শামসুদ্দিন এখন একদিন দুই দিন পর পর আমাদের কাছে ফোন করেন। বলেছেন, তারা ভালো আছেন। জাহাজে রক্ষিত খাবার এখনও মজুত আছে। তবে কমে এসেছে। এখন দস্যুরা আর নাবিকদের থেকে খাচ্ছে না। তারা উপকূল থেকে দুম্বা-খাসিসহ অন্যান্য খাবার নিয়ে আসছেন। দস্যুরা তাদের সংগ্রহ করা খাবার খাচ্ছেন। আবার নাবিকরা চাইলে তাদের খেতে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, কবে এ জিম্মি দশা থেকে নাবিকরা মুক্তি পাচ্ছেন তা নিয়ে চিন্তা হচ্ছে। আমাকে ফোনে বলেছে, জাহাজ মালিক বা এসআর শিপিংয়ের পক্ষ থেকে তাদের মুক্তির বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে যাতে খোঁজ নিই। ইতিমধ্যে আমি এসআর শিপিংয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন নাবিকদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে, সমুদ্রগামী বাণিজ্যিক জাহাজের ক্যাপ্টেন আতিক ইউ এ খান বলেন, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের অধিকাংশ নাবিকই চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের কাছে নেই ওষুধপত্র। পানির সংকট মারাত্মক হয়েছে। সপ্তাহে মাত্র দুয়েকবার স্বাদু পানি পেলেও বাকি সময় সমুদ্রের লোনা পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, জিম্মি নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে জাহাজ মালিকপক্ষ কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে সে বিষয়ে বলা যাচ্ছে না। তবে দস্যুদের সঙ্গে কোনও একটা সমঝোতা হচ্ছে তা বোঝা যাচ্ছে। কেননা তাদের আচরণ নমনীয় হয়েছে। এখনও অনেক প্রক্রিয়া বাকি। প্রথমে সমঝোতা হবে। এরপর তাদের কথা অনুযায়ী মুক্তিপণের টাকা পৌঁছাতে হবে। টাকা পাওয়ার পর নাবিকদের মুক্তি মিলবে। নাবিকরা সেখান থেকে কোনও বন্দরে যাওয়ার পর জাহাজটিতে নাবিকদের নতুন সেটআপ দেওয়া হবে। এরপর বিমানযোগে তারা দেশে ফিরবেন। বিষয়টি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার। এসব প্রক্রিয়া শেষ করতে অন্তত এক মাস কিংবা আরও বেশি সময় লাগতে পারে।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত