খুলনার দাকোপে চালনা কলেজের ৫১জন শিক্ষক ও কর্মচারীর আট মাস বেতন ভাতা বন্ধ রয়েছে। বেতন ভাতা পাওয়ার দাবীতে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করেও আজও পর্যন্ত কোন প্রতিকার পাননি।
ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে অত্যান্ত মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। শিক্ষকদের দাবী কলেজ পরিচালনা এডহক কমিটির সভাপতি বেতন বিলে স্বাক্ষর না করায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
লিখিত আবেদন সূত্রে জানা গেছে, চালনা কলেজে ৩৪ জন জেনারেল শাখার, ১০ জন বিএম শাখার ও ৭জন ডিগ্রী শাখার মোট ৫১জন এমপিও ভূক্ত শিক্ষক ও কর্মচারী রয়েছে। এর মধ্যে জেনারেলের ৮ মাস, বিএমের ৬ মাস ও ডিগ্রী শাখার শিক্ষক ও কর্মচারীদের ৩ মাস বেতন ভাতা বন্ধ রয়েছে।
কলেজ শিক্ষক বিশ্বজিৎ রায়, তপন কুমার রায়, শেখ মারুফ উদ্দিন, বিশ্বজিৎ রায়, বিদ্যুৎ রায়, অসিত বরণ গোলদার, গোপাল চন্দ্র মন্ডল, অপূর্ব সরকারসহ আরো অনেকে বলেন, আমরা ৮ মাস ধরে বেতন ভাতা পাই না। পরিবার পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে আছি। তারা আরো বলেন আমরা কলেজ পরিচালনা এডহক কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বেতন বিলে স্বাক্ষর করাতে গেলে তিনি আমাদের বলেছেন প্রিন্সিপালের চাকুরী নেই। তাছাড়া প্রিন্সিপালের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। প্রিন্সিপাল বিলে স্বাক্ষর করলে তিনি সেই বিলে কোন ভাবেই স্বাক্ষর করবেন না। কলেজের সিনিয়ার অন্য যে কোন শিক্ষকের স্বাক্ষর দিয়ে বিল নিয়ে গেলে তিনি পথে দাঁড়িয়ে বিলে স্বাক্ষর দিয়ে নিজ উপস্থিত থেকে বিল উত্তোলন করে আমাদের দিবেন বলে জানিয়েছেন। এমনকি তার কাছে কলেজের ৪৩ জন শিক্ষক ও কর্মচারীর স্বাক্ষরিত লিখিত আবেদন করেও আমরা বেশ কয়েকবার বিলে স্বাক্ষর করাতে ব্যর্থ হয়েছি।
এ বিষয়ে চালনা কলেজ অধ্যক্ষ ড. অচিন্ত্য কুমার মন্ডল জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) আমাদের বেতন দেন। অধিদপ্তরের গত ০৬/১১/২৩ চিঠিতে বলা আছে আমি কলেজের সকল দায়িত্ব পালন করতে পারবো। আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যারয়ের সর্ব শেষ চিঠিতে বলা আছে গর্ভনিং বডি আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে কিন্তু নেয়নি। এছাড়া আমার চাকুরীর ডাবল বেতন উত্তোলনের অসত্য বানোয়াট বিষয়ে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে মামলা চলমান রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও চালনা কলেজ পরিচালনা এডহক কমিটির সভাপতি জয়দেব চক্রবর্তী বলেন, হাইকোর্ট থেকে শুরু করে মাউশি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যারয়ের সর্ব শেষ চিঠিসহ সকল কাগজপত্র পর্যালোচনা করলে উত্তর আপনি নিজেই পেয়ে যাবেন।