ডিবি প্রধান বলেন, এমপি আনারকে হত্যার পরিকল্পনা আগেও হয়েছে। নির্বাচনের আগে এবং জানুয়ারির মাঝামাঝি দেশে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। দুবার ব্যর্থ হওয়ার পর তৃতীয় দফায় তাকে হত্যা করতে সক্ষম হয় পরিকল্পনাকারীরা।
রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
হত্যাকাণ্ডের মোটিভ কী হতে পারে–সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবিপ্রধান বলেন, ‘নিদিষ্ট তথ্য বলতে পারছি না। অনেক কারণ হতে পারে। পূর্বশত্রুতার জেরে হতে পারে, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত হতে পারে, রাজনৈতিক বিষয়ও থাকতে পারে। এসব বিষয় জানতে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না। আমরা সবকিছুই বিচার-বিশ্লেষণ করব। আসামিরা অনেক কথাই বলছে, তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করছি না।’
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তারা নিশ্চই আলামত পেয়েছে, এ জন্য মামলা হয়েছে। ভারতীয় পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে। হত্যাকাণ্ডের সুস্পষ্ট প্রমাণ আছে তবে তদন্তের স্বার্থে এখন জানানো যাবে না।’
হারুন বলেন, ‘বাংলাদেশে ভারতীয় পুলিশের একটি টিম ২-৩ তিন ধরে তদন্ত করছে। তারা আমাদের আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। আমরাও যাব। অনেক বিষয় নিয়ে কাজ করছি। আমাদেরও একটি টিম কলকাতা যাবে।’
উল্লেখ্য, গত ১২ মে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে আসেন ঝিনাইদহের সাংসদ আনোয়ারুল আজীম। ১৩ মে রাতে তিনি নিউটাউনের ফ্ল্যাটে খুন হন। দুই দিন নিখোঁজ থাকার পর তার হত্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হয় পুলিশ।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, আনোয়ারুল আজিম আনারকে প্রথমে ক্লোরোফর্ম দিয়ে অজ্ঞান করা হয়, তারপর তাকে হত্যা করে লাশ গুম করে হত্যাকারীরা।
তিনি বলেন, হত্যাকারীরা অপহরণের পর প্রথমে তাকে ফ্ল্যাটে নেয়। এরপর তার একটি ফোন নিয়ে অন্য জায়গায় চলে যায়। যাতে বোঝা যায় তিনি অন্য জায়গায় ছিলেন। এছাড়াও হত্যাকারীরা তাকে হত্যার পর চারটি মোবাইল নিয়ে বেনাপোল সীমান্তে আসে। এরপর তারা হত্যায় আনারের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তাদের কলও করে।