কেশবপুরের ভালুকঘর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কোমল কুমার মল্লিকের বিরুদ্ধে এক গৃহবধূ শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে তিনি গণধোলাইয়ের স্বীকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এঘটনায় গৃহবধু ওই শিকক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। এরই মধ্যে ওই গৃহবধুর কাছে লেখা ২টি চিঠিও উদ্ধার করা হয়েছে।
থানায় লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায় কেশবপুর উপজেলার সরাপপুর গ্রামের হজরত আলী মোড়ল একজন ভাটা শ্রমিক। ভাটা মৌসুমে সে বাইরে ইটভাটায় কাজ করতে যায়। এই সুযোগ মনে করে একই গ্রামের মৃত নরেন্দ্র মল্লিকের ছেলে ভালুকঘর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কোমল কুমার মল্লিক (৪০) তাকে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাবসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আসছে।
ভাল বাসার নামে তিনি ২টি চিঠিও দিয়েছেন ওই গৃহবধুকে। এরই মধ্যে গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে না থাকায় গত শুক্রবার গভীর রাতে কোমল কুমার মল্লিক তাদের বাড়িতে গিয়ে গৃহবধু ঘুম থেকে ডেকে তুলে তাকে জোর করে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। এসময় গৃহবধু নিজেকে রক্ষা করতে আত্নচিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে আসার আগেই সে পালিয়ে যায়।
ঘটনাটি শনিবার সকালে জানাজানি হয়ে পড়লে এলাকাবাসী শিক্ষক কোমল কুমার মল্লিককে তার স্কুলে যাওয়ার পথে ধরে পারপিট করে। এতে সে আহত হলে তাকে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে বর্তমানে হাসপাতালের ৪০ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন আছেন। এদিকে গৃহবধূ ওই লম্পট শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে এই প্রতিনিধিকে জানান।
অপরদিকে শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনায় সরাপপুর গ্রামের পরান মোড়লের পুত্র আবু সামাসহ গ্রামের একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে শিক্ষক কোমল কুমার মল্লিক সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জহিরুল আলম বলেন, গৃহবধুর শ্লীলতাহানী ঘটনাসহ ২টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার তদন্ত ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।