টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরের পর এবারই দ্বিতীয়বারের মতো সুপার এইটে পা রাখলো বাংলাদেশ।
নেপালের মত আইসিসির সহযোগি সদস্য দেশ বেশ ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলো। বিশেষ করে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে।
সেন্ট ভিনসেন্টের অ্যারোনেস ভ্যালে স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নেপালি বোলারদের সাঁড়াসি আক্রমণে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিলো ১০৬ রানে।
জবাব দিতে নেমে শুরুতে তানজিম সাকিবের দুর্দান্ত পেসে কাঁপন ধরলেও মিডল অর্ডারে রীতিমত জয়ের রাস্তায় চলে গিয়েছিলো নেপালিরা। মিডল অর্ডার কুশল মাল্লা এবং দিপেন্দ্র সিং আইরি মিলে ৫২ রানের জুটি গড়ে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলো টাইগারদের।
কিন্তু তাসকিন আহমেদ আর মোস্তাফিজুর রহমান তুনের শেষ তীরটা বের করেন শেষ মুহূর্তে এসে। ১৯তম ওভার মেডেন উইকেট নেন মোস্তাফিজ। শেষ পর্যন্ত ১৯.২ ওভারে ৮৫ রানেই অলআউট হয়ে যায় নেপাল। বাংলাদেশ জয় পেলো ২১ রানে। সে সঙ্গে অন্য কোনো সমীকরণ ছাড়াই শেষ দল হিসেবে সুপার এইট নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো ব্যাটারই নেপালের বোলারদের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে ব্যাটিং করতে পারেনি। ৫২ রানে ৫ উইকেট এবং ৬১ রানে ৬ এবং ৬৯ রানে ৭ উইকেট হারিয়েছে টাইগাররা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই সমপাল কামির হাতে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তানজিদ হাসান তামিম। ৫ বলে ৪ রান করে আউট হন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
১২ বল খেলে ১০ রান করে ফিরে যান লিটন দাস। টানা ব্যর্থতার ভেতর দিয়েই যাচ্ছেন এই দুই ব্যাটার। তাদের ব্যর্থতা বাংলাদেশের জন্য ব্যাটিংয়ের দৈন্যদশার জন্য সবচেয়ে বড় দায়ী।
সাকিব আল হাসান ১৭ রানে, তাওহিদ হৃদয় ৯ রানে আউট হয়ে যান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেন মাত্র ১৩ রান।