উত্তরায় সংঘর্ষে নিহত সাতক্ষীরার দেবহাটার আসিফ হাসান (২২) ছিলেন ছাত্রলীগের কর্মী। তিনি দেবহাটা উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের আস্কারপুর গ্রামের মাহমুদ আলম গাজীর ছেলে ও আসিফ হাসান নর্দান ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
পরিবারের বরাত দিয়ে দেবহাটার নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন সাহেব আলী এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, নিহত আসিফ হাসান এলাকায় থাকাকালীন ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন। তার গোটা পরিবার আওয়ামী লীগের সমর্থক। ইউনিভার্সিটির বিরোধী দলীয় ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও অপর সহপাঠীদের চাপে বাধ্য হয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনে যেতে হচ্ছে বলে সম্প্রতি পরিবারকে ফোন করে জানিয়েছিলেন আসিফ হাসান।
বৃহস্পতিবার রাতে গ্রামের বাড়ি দেবহাটার আস্কারপুরে ফিরে আসতে চেয়েছিলেন তিনি। দুর্ভাগ্যবশত মা-বাবার কাছে ফিরে আসছেন লাশ হয়ে। ঢাকায় অবস্থানরত আত্মীয়-স্বজন আসিফ হাসানের মরদেহ গ্রহণ করে দেবহাটায় নিয়ে আসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
শিক্ষার্থী আসিফ হাসানের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে বলেও জানান ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন সাহেব আলী। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে কোটা সংস্কার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় গুলিতে নিহত হন আসিফ হাসান।