বৃহস্পতিবার ২৬ জুন ২০২৫ ১২ আষাঢ় ১৪৩২
বৃহস্পতিবার ২৬ জুন ২০২৫
চার স্কুলছাত্রীকে বাসায় আটকে রেখে ১৮ দিন ধরে ধর্ষণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫, ৬:৩২ PM
ফতুল্লার চার স্কুলছাত্রীকে ঢাকার নিজ বাসায় ১৮ দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে মিজানুর রহমান মিজান (৪৫) নামে এক শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার প্রেমতলা এলাকার ফারুক মিয়ার ভাড়াটিয়া বাসা থেকে ওই ছাত্রীদের উদ্ধার করে শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়। 

ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিভাবকদের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম।
 
পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত মিজান ফতুল্লার পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের আর্ট ও কম্পিউটার বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক। তার বাড়ি বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া থানার সেরাল পূর্বপাড়া গ্রামে। তবে তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার প্রেমতলা এলাকার ফারুক মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের আর্ট ও কম্পিউটার বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক মিজানুর রহমান মিজান সপ্তাহে একদিন শুক্রবার শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেন। এ সুযোগে বিভিন্ন সময় তিনি দশম শ্রেণীর চার ছাত্রীকে ভালো আর্ট ও কম্পিউটার শেখানোর প্রলোভন দেখান। কিশোরী বয়সের সরলমনা ছাত্রীরাও তার প্রলোভনে পড়ে শিক্ষক মিজানের মোহাম্মদপুরের বাসায় চলে যায়। সেখানে সুযোগ বুঝে শিক্ষক মিজান ওই চার ছাত্রীকে গত ৬ জুন থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত আটকে রেখে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করেন। 

পরবর্তীতে সেই বাসা থেকে কৌশলে এক ছাত্রী পালিয়ে এসে আটক অপর তিন ছাত্রীর অভিভাবকদের বিষয়টি জানায়। এরপর অভিভাবকরা থানায় লিখিত অভিযোগ করলে ঢাকার মোহাম্মদপুরে মিজানের বাসায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে এবং ভুক্তভোগী তিন ছাত্রীকে উদ্ধার করে।

গ্রেফতারকৃত মিজানের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে পূর্বের আরও একটি মামলা রয়েছে উল্লেখ করে ওসি আরও বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার চার ছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে ভুক্তভোগী ছাত্রীদের জবানবন্দি দিতে আদালতে পাঠানো হবে।’

এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উদঘাটন করতে গ্রেফতারকৃত মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। শুনানি শেষে আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বলেও জানান ওসি শরিফুল ইসলাম।

ইন্সপেক্টর শরিফুল ইসলাম আরও বলেন, “গ্রেপ্তারকৃত মিজান একজন বিকৃত রুচির ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে ঢাকার একটি থানায় আগেই পর্নোগ্রাফি ও ধর্ষণের একটি মামলা রয়েছে। ফতুল্লা থানায়ও নতুন করে একটি ধর্ষণ মামলা রুজু করা হয়েছে। আমরা তাকে রিমান্ডে এনে আরও বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করব।”
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত