কদিনে বেশ আলোচিত হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের ভূমিকা। এরই মধ্যে সংগঠনটির কার্যনির্বাহী কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীকাল বুধবার নতুন কমিটি ঘোষণার কথাও বলা হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) পুরাতন কমিটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সকল সৈনিকদের অভিনন্দন জানায়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরাও চাকুরি জীবনে বৈষম্যের শিকার। দেশ থেকে ফ্যাসিবাদ বিতাড়িত হয়েছে। তাই আজ কথা বলার সুযোগ পেয়ে আবারও সকল ছাত্র-জনতাকে বাংলাদেশ পুলিশের অধস্তন কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে রক্তিম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন জানায়, সারাদেশে শত শত পুলিশ ইতোমধ্যে শাহাদাত বরণ করেছেন। আমরা বিশ্বাস করি এগুলো কোনো ছাত্রদের কাজ নয়। নিঃসন্দেহে কোন দুষ্কৃতকারীদের কাজ। দেশবাসী আমাদেরকে অর্থাৎ পেশাগত বাহিনী পুলিশকে তাদের শত্রু মনে করে। আমরা পুলিশ জনগণের সেবক।
বর্তমান কোটা সংস্কার আন্দোলনসহ যেকোনো আন্দোলনে কোনো সাধারণ মানুষকে সরাসরি গুলি করতে না চাইলেও সেটা বাধ্য হয়ে করতে হয় দলীয় কার্যনির্বাহী বাস্তবায়ন করার জন্য। আমাদেরকে দেশবাসীর কাছে ভিলেনে রূপান্তরিত করা হয়। আমরা কোটা সংস্কারের মতো পুলিশ বাহিনীর সংস্কার চাই।
এই সরল স্বীকারের একদিন পরই সংগঠনটির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা আসলো।
ঘোষণায় বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন জানায়, নিরীহ, নিগৃহীত সাধারণ পুলিশ সদস্যদের জীবন আজ বিপন্ন। এই ক্রান্তিলগ্নে আমরা বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে এবং বিবেকের তাড়নায় তাড়িত হয়ে ঢাকায় অবস্থানরত বেশ কিছু সংখ্যক সদস্য গতকাল মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সমিতির কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে এক জরুরি বৈঠকে মিলিত হন।
সমিতির বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বহু চেষ্টা করেও তাদের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। এমনকি মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে জনরোষ এড়াতে তারা আত্মগোপন করেছে। তাই পুলিশের এই কঠিন দুঃসময়ে অধস্তন পুলিশ সদস্যদের কাছে সঠিক বার্তা পৌঁছানোর লক্ষ্যে উপস্থিত সব সদস্যদের সর্ব সম্মতিক্রমে বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।