এদিকে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রথমবারের মতো প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। মায়ের পদত্যাগ ও দেশত্যাগের খবরে তিনি ব্যথিত হয়েছেন।
এছাড়া এই কঠিন সময়ে মাকে দেখতে ও আলিঙ্গন করতে না পারায় তার হৃদয় ভেঙে গেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এ বিষয়ে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। তিনি বলেছেন, দেশে ব্যাপক অশান্তির মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তিনি ‘তার মাকে দেখতে ও আলিঙ্গন করতে’ পারেননি।
৫ অগাস্ট যখন নাটকীয় ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে দিয়ে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে হেলিকপ্টারে দেশ ছাড়তে হয়, তখন সায়মা ওয়াজেদ থাইল্যান্ডে ছিলেন।
বিবিসি বলছে, শেখ হাসিনা দিল্লির কাছে হিন্ডনে অবতরণ করার কয়েক ঘণ্টা পরেই, সায়মা ওয়াজেদও দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন। তাই পুতুলের এমন পোস্ট ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে।
এদিকে হাসিনার সরকারের সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, কোটা আন্দোলন যে সরকার উৎখাতের দিকে গড়াবে, সেটি তারা কেউ ধারণা করতে পারেনি। শেখ হাসিনা পদত্যাগের বিষয়ে দুই-একদিন আগে থেকে চিন্তাভাবনা করলেও দেশ ছাড়ার ব্যাপারে কোনো প্রস্তুতিই ছিল না।
বিবিসির দক্ষিণ এশিয়া সম্পাদক ইথিরাজন আনবারাসনকে দেওয়া একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে সজীব ওয়াজেদ বলেছেন, বিক্ষুব্ধ লোকজন গণভবনের দিকে মিছিল করে পৌঁছাতে যতটা সময় লাগবে, দেশত্যাগের জন্য শেখ হাসিনার হাতে সেটুকু সময় ছিল বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে দেশত্যাগের জন্য নির্দিষ্ট করে কোনো সময় বেঁধে দেওয়া হয়নি তিনি দাবি করেছেন।
তিনি বলেন, আমার মা কখনও বাংলাদেশ ছাড়তে চাননি। তাকে আমাদের রাজি করাতে হয়েছে। তিনি পদত্যাগ করার পরিকল্পনা করছিলেন, তিনি একটা ভাষণ দিতে চেয়েছিলেন এবং সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিক্ষুব্ধ লোকজন গণভবনের দিকে মিছিল করার কথা ঘোষণা করলো, আমরা পরিবারের সদস্যরা তার কাছে অনুনয় করি যে, তারা সহিংসতার জন্য আসছে, তারা হত্যা করতে পারে, তোমাকে নিরাপত্তার জন্য চলে যেতে হবে।
জয় বলেন, আমার খালা (শেখ রেহানা) তার সঙ্গে ছিলেন। আমার মা চেয়েছিলেন শুধু খালা যেন হেলিকপ্টারে করে সামরিক বিমান ঘাটিতে চলে যান।আমর মা উঠতে চাচ্ছিলেন না। তখন আমি তাকে এবং আমার খালাকে বলি, তাকে (শেখ হাসিনা) অবশ্যই যেতে হবে।