ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) উপাচার্য নিয়োগে দীর্ঘসূত্রিতার প্রতিবাদে ও অবিলম্বে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে ফের কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
শনিবার (২১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত দেড় ঘন্টা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করে রাখেন তারা। এতে সড়কের উভয় পার্শ্বের যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা ভিসি ভিসি চাই ইবিতে ভিসি চাই, ভিসি নিয়ে নয় ছয় আর নয় আর নয়, সবাই যখন স্বর্গে ইবি কেন মর্গে, ঢাবি, জাবি ভিসি পায়, ইবি কেন পিছিয়ে যায়, শিক্ষার্থীদের অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন। ইত্যাদি স্লোগান দেন।
সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা প্রাঙ্গন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। যেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকের সামনের কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বয়ক মখলেচুর রহমান সুইটের নেতৃত্বে এসময় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
পরে বেলা ১ টায় এক ছাত্র সমাবেশের মাধ্যমে মহাসড়ক ছেড়ে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। ছাত্রসমাবেশে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা-কার্যক্রমকে স্বাভাবিক করতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে একজন দূর্নীতিমুক্ত, সংস্কারমনা, শিক্ষার্থীবান্ধব ও বিশ্বমানের উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানিয়ে আল্টিমেটাম দেন। এছাড়াও নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া না হলে অনিদিষ্টকালের জন্য মহাসড়ক অবরোধের হুশিয়ারী দেওয়া হয়।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে আধাঘন্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে একই দাবিতে বিক্ষোভ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেসময় উপাচার্য নিয়োগে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। তার আগে একাধিকবার বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ছাত্র-জনতার সফল গণঅভ্যুত্থানের পরে গত ৮ আগস্ট পদত্যাগপত্র জমা দেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম৷ এরপর থেকে উপাচার্যশূন্য রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।