‘রগ কাটা’অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শাখা ছাত্রশিবিবের সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টিএসসিতে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে ফরহাদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কোনো বিষয়ে কাউকে হ্যাঁ বা না বলা অথোরিটি তিনজনের। সিনেট, সিন্ডিকেট এবং একাডেমিক কাউন্সিল। এ ৩টির বাহিরে বিশ্ববিদ্যালয়ে আর কোনো অথোরিটি হ্যাঁ বা না বলার অধিকার রাখে না। আর ছাত্রশিবির যাতে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি করে সেখানে এ প্রশ্ন কখনোই আসবে না।
‘রগ কাটা’ অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে সেক্রেটারি বলেন, এটা আমি সহজ করে বলি, আপনি রগকাটা লিখে গুগুলে সার্চ করেন দেখবেন সব ক্রাইম ছাত্রলীগের নামে। সেখানে শিবির নামে কোনো ডকুমেন্ট পাবেন না।
এ নামটা (রগ কাটা) আপনাদের সঙ্গে এত জড়িত কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা খুবই স্বাভাবিক, ফ্যাসিবাদরা যখন একটা ব্যাপারকে রিপিটেটলি এস্টাবলিশ করতে চাইবে যেখানে আপনি কথা বললে আপনাকে ট্যাগ দিয়ে মেরে ফেলবে। আপনি এখানে একটা বয়ান এস্টাবলিশ করবেন এটা খুবই স্বাভাবিক।
এখানে (রগ কাটা) বিষয়টাকে প্রত্যেকটা উপাদান হেল্প করছে। কেউ এ উপাদনটাকে বিরোধিতা করতে পারেনি। নেগেটিভ বিষয় যে এস্টাবলিশ করুক না কেন, কেউ হয়তো সমর্থন দেয় নাই, কিন্তু কেউ এর বিরোধিতা করতে পারেনি।
সমন্বিত সামগ্রিক এফোর্ড দিয়ে যখন কোনো কিছু দাঁড় করায় তখন সেখানে নেগেটিভ এস্টাবলিশ হতে বাধ্য। এখন এ নেগেটিভ রাইট অর রং এটার ডিসিশন দিবেন আপনারা। আপনারা সাংবাদিক যারা আছেন তারা এ বিষয়টাকে যাছাই অথবা অ্যানালাইসিস করবেন এটা সত্য কি না।’
এর আগে রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সভাপতির পরিচয় প্রকাশ্যে আসার পর এবার আলোচনায় এসেছেন শিবিরের সেক্রেটারি।
সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা সম্পর্কে একটি স্ট্যাটাস দেন। ওই স্ট্যাটাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সেক্রেটারির প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। এর পরই শুরু হয় তুমুল আলোচনা। আব্দুল কাদের ওই স্ট্যটাসে ফরহাদ নামের একজনকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরের সেক্রেটারি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিলেও বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।