টঙ্গীর ঐতিহ্যবাহী আইচি খেয়াঘাটে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগে কথিত আওয়ামীলীগ নেতা টুটুল সরকারকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী।
গতকাল শনিবার রাতে খেয়াঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করে। রবিবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
জানা যায়, টুটুল সরকার খেয়া ঘাটের ইজারা নেওয়ার পর থেকে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে আসছিলেন।
বিআইডব্লিউটিএ এর অনুমোদন ছাড়া খেয়া ঘাটের নাম পরিবর্তন করে সরকার বাড়ি ঘাট নামকরণ করে নিজের পৈতৃক ঘাট হিসেবে প্রচার করে আসছিলেন। তার ইজারা কালীন সময় ঐতিহ্যবাহী এই খেয়াঘাটের নৌকার মাঝিদের বিতারিত করে ইঞ্জিন চালিত বোট দিয়ে পারাপার শুরু করেন তিনি। এতে বেকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন অর্ধশতাধিক মাঝির পরিবার। এছাড়াও নিজ এলাকায় আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক নেতার পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন চাঁদাবাজি ও দখল বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছিলেন তিনি।
খেয়া ঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া এবং অবৈধ ইজারার বিষয়ে প্রতিবাদ করলে তিনি স্থানীয় একাধিক ব্যক্তিকে মারধর করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন। তার এই অপকর্মের বিষয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অপহরণের মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলেও এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করে যৌথ বাহিনী।
টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ কায়সার আহমদ বলেন, আসামির ব্যবসায়িক অংশীদার তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছেন উক্ত মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।