নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায়ে গ্রেপ্তারকৃত পটুয়াখালীর আলোচিত মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলামকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গতকাল রাতে সদর থানা পুলিশ গ্রেপ্তারের পর আজ আদালতের মাধ্যমে তাকে পটুয়াখালী কারাগারে পাঠানো হয়। মোঃ শহিদুল ইসলাম শহরের ঈদ গাহ মাঠের সামনে জুন নুরাইন আল কুরআন একাডেমির আরবি বিষয়ক শিক্ষক এবং গলাচিপা উপজেলার ইচাদি গ্রামের মোঃ সেকান্দার খানের ছেলে।
এর আগে চলতি বছর গত ৭অক্টোবর এবং ২০২৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের দুটি ঘটনা উল্লেখ করে ওই মাদ্রাসার আরবি শ্রেনীর এক শিশু শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শিক্ষক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায়ে ভূক্তভোগী অভিভাবক উল্লেখ করেছেন যে, তার ছেলেকে বাসায় পড়ানোর জন্য আসা যাওয়া করায় তাদের মধ্যে পরিচিতি হয়। এক পর্যায়ে লোনের টাকা উত্তোলনের জন্য তার ছবি ও ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে নেয় শহিদুল ইসলাম। এরপর নানা ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে তার কাছ থেকে দুই দফায় সাড়ে পাচ লাখ টাকা নিয়ে। ছেলের শিক্ষক তার উপর আরবি পড়ায় তাই সরল বিশ্বাসে দেয়া সেই টাকা যখন ফেরত চায় তখনই বেকে বসে শহিদুল।
এরপর নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে এক পর্যায়ে তাকে জোড়পূর্বক ধর্ষন করে শহিদুল। এরপর বিপত্তি আরো বেড়ে যায়। সেই ধর্ষনের ঘটনা কাউকে না বলতে হুমকী দিয়ে ফেইস বুকে ছাড়ার ভয় দেখিয়ে চলতি বছর গত ৩অক্টোবর থেকে ৭অক্টোবর পর্যন্ত কয়েক দফায় ধর্ষন করে শহিদুল। পরে ৭তারিখ আবারও তার বাসায় এসে জোড় পূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করলে ডাকচিৎকার দিলে আশে পাশের লোকজন ছুটে আসার আগেই শহিদুল সেখান থেকে পালিয়ে যায়। কোন উপায় না পেয়ে ওই অভিভাবক আইনের আশ্রায় নেয়।
এছাড়াও গ্রেপ্তারকৃত শহিদুলের বিরুদ্ধে শিশু শিক্ষার্থীদের বলৎকারসহ একাধিক মহিলা অভিভাবকদের সাথে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে অশ্লিল ছবি ভিডিও দিয়ে নানাভাবে হয়রানি করার একাধিক অভিযোগ আছে। শহিদুলের সাথে ওই মাদ্রাসার প্রিন্সিপ্যাল মোঃ বায়েজিদ হোসাইনও মামলার আসামী এবং তার ছত্রচ্ছায়ায় থেকেই দীর্ঘদিন ধরে শহিদুল এরকম অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মহিলা অভিভাবকগণ জানান।