একটি দলের ব্যর্থতার জন্য ১৯৭১ সালের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
শনিবার রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, দেশের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। তারই ধারাবাহিকতায় জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে দেখেছি, ছাত্ররা জীবনের মায়া ত্যাগ করে লড়াই করেছে গণতন্ত্রের জন্য, মানুষের অধিকার ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য। আজকে এই শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এসে তাদের কথা মনে পড়েছে।’
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ১৯৭১ সালে বহু মানুষের, বহু শহীদের আত্মত্যাগের পরও আমরা স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে ব্যর্থ হয়েছিলাম একধরনের মানসিকতার জন্য, একটা দলের ব্যর্থতার জন্য। সেই ব্যর্থতার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়।
তিনি আরও বলেন, তরুণদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে রাষ্ট্র গঠনের যে দ্বিতীয় সুযোগ আমরা পেয়েছি, সেই সুযোগ যেন আমরা কোনোভাবেই নষ্ট না করি। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে এটাই আমাদের কাম্য।
আজ ১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার ঘৃণ্য চক্রান্ত করেছিল। তারা তাদের এদেশীয় দোসরদের নিয়ে শিক্ষক, বিজ্ঞানী, চিন্তক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, ক্রীড়াবিদ, সরকারি কর্মকর্তাসহ দেশের বহু কৃতী সন্তানকে হত্যা করে। বিশেষ করে ১৪ ডিসেম্বর তারা ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায়।
মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের পর রাজধানীর রায়েরবাজার ইটখোলা, মিরপুরের বধ্যভূমিসহ ঢাকা এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিজীবীদের চোখ-হাত বাঁধা ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ পাওয়া যায়। এর মধ্য দিয়ে জাতিকে মেধাশূন্য করার ষড়যন্ত্র প্রকাশিত হয়ে পড়ে। স্বাধীনতার পর থেকে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। এবারও জাতীয়ভাবে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।